কক্সবাজার, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ত্রাণের ১৫ টন চাল আত্মসাৎ, মামলা

পেকুয়ায় সরকারি বরাদ্দের ১৫ টন চাল আত্মসাৎপূর্বক কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মঙ্গলবার রাতে মামলাটি রুজু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম।

আমিনুল ইসলাম মামলা করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য ১৫ টন চাল প্রকল্পের চেয়ারম্যান হিসাবে টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করেছেন। গত ৬ এপ্রিল চালগুলো উত্তোলন করা হলেও তিনি মাস্টার রোলসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দেননি। চালগুলো কোথায় আছে সে বিষয়েও কোনো সুরহা দেননি। যার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা থেকে ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মানবিক সহায়তা হিসেবে ৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ২৫ টন চাল বিলি করা হয়েছে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, রিকশাচালক ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য গত ৩১ মার্চ টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের অনুকূলে ১৫ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈকা সাহাদাত স্বাক্ষরিত ওই বরাদ্দ চালের কোনো হদিস মেলেনি এখনো। ত্রাণের চাল গায়েবের বিষয়টি তদন্ত করতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসার পেকুয়ায় আসেন।

তদন্তের বিষয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, পেকুয়ায় তদন্তে এসে সরকারিভাবে বরাদ্দের কাগজ বা নথি পর্যালোচনা করেছেন। টইটং চেয়ারম্যান দুই দফায় চাল উত্তোলন করেছেন। কিন্তু তিনি বিতরণের কোনো তথ্য দেননি বা চালগুলো কি করেছেন—সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাননি। প্রতুদিনেরসংবাদ

পাঠকের মতামত: