পেশায় ভিক্ষুক।বয়স নিশ্চিতভাবেই ৭০ এর উপরে।গত তিন বছর ধরে ১ টাকা ২ টাকা করে জমিয়ে ১০ হাজার টাকা জমা করেছিলেন একটা ঘর তুলবেন বলে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সেই টাকার পুরোটাই তুলে দিয়েছেন ইউএনও স্যারের হাতে। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের আহারের জন্য এই টাকা দিয়েছেন। তিনি বুড়া মানুষ মইরা গেলে এই টাকা দিয়ে ঘর বানিয়ে কি করবেন? দেশের এখন সমস্যা তাই তার জমানো পুরো টাকাটাই দিলেন।
ইউএনও স্যার গিয়েছিলেন হতদরিদ্রদের তালিকা তৈরির জন্য। বাড়ি বাড়ি যাওয়ার এক পর্যায়ে যখন নজিম মিয়ার বাড়িতে যান নাম তুলার জন্য তখনই মূলত এই ঘটনার অবতারণা হয়।
চিন্তা করা যায় কত বড় কলিজা মানুষটার? আমি তো মনে করি তার শরীরের পুরোটাই কলিজা।
একজন ভিক্ষুক হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েও এই ক্রান্তিলগ্নে যারা ঘরে বসে আছেন কিংবা নিজেদের আখের গোছাতে যারা ব্যাস্ত কিংবা গরীবের হক মেরে যারা ত্রাণ চুরি করছেন তাদের গালে খুব কষে জুতা দিয়ে বাড়ি মারলেন এই নজিম মিয়া।
আর দেখিয়ে দিলেন-“ধনে নয়,মনেই বড় হতে হয়।
সমাজে এমন নজিম মিয়া খুব বেশিই দরকার।
ঘটনাটি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার গান্দিগাও গ্রামের।
স্যালুট_নজিম_মিয়া।
লেখক:- জাহাঙ্গীর আলম “কোস্ট ট্রাষ্ট”
পাঠকের মতামত: