কক্সবাজার, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

প্রতি ১০০ বছরে ১ টি মহামারি: ২০২০ সালে করোনাভাইরাস

প্রতি শত বছর পরে মনে হয় একটি করে মহামারির পুনরাবৃত্তি। ১৭২০ সালে প্লেগ, ১৮২০ সালে কলেরা, ১৯২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি হয়েছে। চীনের বর্তমান ভাইরাল মহামারি উল্লিখিত মহামারিগুলোর মতো একই ধাঁচ অনুসরণ করেছে।

১৭২০ সাল: ১৭২০ সালে বুবোনিক প্লেগ বৃহত আকারের মহামারী ছিল, এটি মার্সেইয়ের দুর্দান্ত প্লেগও বলে। রেকর্ডগুলি দেখায় যে ব্যাক্টেরিয়া মার্সেইলে প্রায় ১লাখ মানুষ মারা গেছিলো । ধারণা করা হয় যে এই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রামিত মাছি দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে।

১৮২০ সাল: থাইল্যান্ডে কলেরা মহামারি প্রথম ধরা পড়েছিল ১৮২০ সালে। ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে সহ এশিয়ার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৮২০ সালে এই জীবাণুটির কারণে এশিয়ায় ১লাখ এরও বেশি মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছিল। ১৮২০ সালের মহামারি দূষিত নদীর পানি খাওয়ার কারণে শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়।

১৯২০ সাল: ১০০ বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু দেখা দিয়েছিল, সেই সময় লোকেরা এইচ ১ এন ১ ফ্লু ভাইরাসের সাথে লড়াই করছিল। ক্রমাগত স্প্যানিশ ফ্লু জিনগত ভাবে পরিবর্তন হতো যার ফলে ভাইরাসটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক করে তুলেছিল। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল এবং বিশ্বের ১০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলো, ১৯২০ সালের মহামারিটি ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা ছিল।

২০২০ সাল: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দেখে মনে হয় ইতিহাস প্রতি ১০০ বছর পরে নিজেকে পুনরাবৃত্তি করছে!

চীন হওয়া এই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসটি ইতিমধ্যে সারা বিশ্ব ছড়িয়ে পড়েছে। দুনিয়াজুড়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারস ডট ইনফো’র হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত দুই লাখ ছাড়াল। মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৭, মৃত্যু ৮১৬০, সুস্থ ৮২ হাজার ৮১৩।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঘরের ভেতরেই থাকতে হচ্ছে বিশ্বের প্রায় ১৪৫টি দেশের মানুষকে। সবাই এক রকম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ইতালিতে এখন ঘরে ঘরে কারাগারের মতো অবস্থা। সরকারি নির্দেশে দেশটির সবাই এখন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি। অবরুদ্ধ ইতালিতে বন্দিজীবনে অলস সময় পার করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। জীবন যেন থমকে গেছে। সুস্থ থাকলেও ঘরের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত দেশে ১৪ জন আক্রান্ত ও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

পাঠকের মতামত: