ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় যাত্রীবাহী দূরপাল্লার একটি বাস থেকে স্যুটকেস বন্দী অজ্ঞাত এক তরুনীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। একই সাথে কাউকে আটকের বিষয়টিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশুলিয়ার নবীনগর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সেবা গ্রীন লাইন (ঢাকো মেট্রো ব-১৫-৩৯৮৭) পরিবহন থেকে স্যুটকেস বন্দী লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আশুলিয়ার নবীনগরের সেবা গ্রীন লাইন পরিবহনের কাউন্টার মালিক মো. লিটন জানান, তাদের বাসটি রাজধানীর গাবতলী থেকে গোপালগঞ্জে যাত্রী পরিবহন করে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় তাদের কাউন্টারের ঊনিশ জন যাত্রীসহ মোট চল্লিশ জন যাত্রী নিয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরে আরিচা এলাকায় ফেরি পারাপারের পর নবীনগর থেকে ওঠা এইচ-১ সিটের এক যাত্রীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তাদের জানায় বাসটির স্টাফরা। পরে বাসটি গোপালগঞ্জের নাজিরপুর পৌছলে ওই যাত্রীর বাসের বক্সে রেখে যাওয়া একটি কালো রঙের স্যুটকেস পাওয়া যায়।
স্যুটকেসটির মালিক না পেয়ে আবারো একই বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে শনিবার রাতে গাবতলী থেকে বাসটির চালক লালু মিয়া, সুপারভাইজর সবুজ শেখ ও হেলপার নয়নকে নিয়ে নবীনগর কাউন্টারে আসে। এরপর আশুলিয়া থানা পুলিশ ও পিবিআই’র কর্মকর্তারা স্যুটকেস খুলে এক তরুনীর গলিত লাশ পান।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ মুন্সি জানান, রাতে নবীনগর এলাকায় বাসটির মালামাল রাখার বক্স খুলতেই এর ভেতর থেকে উটকো গন্ধ বের হতে থাকে। পরে পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের গোপানাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ও শরীরে ফোসকা রয়েছে এবং মুখে স্কচ টেপ লাগানো ছিলো। পড়নে কেবল একটি হলুদ রঙের পায়জামা ছিল।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফজলুল হক জানান, ওই তরুনীকে হত্যার পর তার লাশ স্যুটকেসে ভরে যাত্রীবেশে কৌশলে বাসের বক্সে রেখে গেছে হত্যাকারী। তার বয়স ২৪-২৬ বছরের মধ্যে হবে। তবে কিভাবে এবং কেন ওই তরুনীকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: