কক্সবাজার, রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৫ লিটার তেলের মূল্য ৮৫২ থাকলেও বিক্রি করছে ৯৫০ টাকা

উখিয়ায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে ভোজ্য তেল

নিজস্ব প্রতিবেদক::

কক্সবাজারের উখিয়ায় মাহে রমজান সামনে রেখে বাজারে সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন একটি চক্র। এদিকে অতিরিক্ত মূল্যে তেল কেনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্রেতারা৷ এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দেখেও দেখে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন৷

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উখিয়া সদর বাজার, কোটবাজার, মরিচ্যা বাজার, সোনারপাড়া বাজার, কুতুপালং বাজার, থাইংখালী বাজার, বালুখালী বাজার ও পালংখালী বাজারে পাইকারি ও খুচরা মুদির দোকানে তেল সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে ভোজ্য তেল৷

উখিয়া সদর পাইকারি দোকান ‘বিশ্বনাথ স্টোর’ প্রকাশ ভুলাবরো দোকানে বিভিন্ন যায়গায় থেকে ২নং তেল সংগ্রহ করে তেলর ড্রামে ঢালা হচ্ছে৷ কমদামে তেল মজুদ করে বিক্রি করছেন অতিরিক্ত দামে৷ ৫ লিটার তেলের মূল্য আছে ৮৫২ টাকা কিন্তু এটা বিক্রি করছেন ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা৷ এরআগে ২০২৪ সালের রমজানে চিনির সাথে লবণ মিশিয়ে বিক্রির দায়ে তাকে গুনতে হয়েছিলো জরিমানা ঠিক এবার সে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তেল সংগ্রহ করে তেলের ড্রামে মিক্সি করে বিক্রি করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে৷ যা প্রশাসনের চোখে পড়েনি৷

উখিয়া পাইকারি বিক্রেতা সিরাজ সওদাগরের দোকানে ৫ লিটার তেল বিক্রি করছেন ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা৷ তাছাড়া ১ লিটার ও ২ লিটার তেলের মূল্যের চেয়েও বেশি টাকা করে বিক্রি করছেন ভোজ্য তেল৷
ঠিক একই ভাবে ভেটকা সওদাগরের দোকানেও একই অবস্থা৷ তিনি শুধু তেল নই সবকিছুর দাম বেশি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে৷ এসব দেখেও দেখে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন৷

হাজিরপাড়া এলাকার ক্রেতা আব্দু সালাম উখিয়া বার্তা ডটকমকে জানান, গতকাল সিরাজ সওদাগরের দোকান থেকে ৫ লিটারের তেল দাম দিয়েছে ৯০০ টাকা৷ যার গায়ে মূল্য ছিলো ৮৫২ টাকা৷ কিছু করার নেই, খেতে হবে তাই ৯০০ টাকা দিয়ে নিয়ে চলে আসছে৷

সিকদার বিল এলাকার ক্রেতা আব্দুল আলম উখিয়া বার্তা ডটকমকে জানান, বিশ্বনাথ স্টোর থেকে পিঁয়াজ নিতে গিয়ে দেখি প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ৬০ টাকা যা অন্য দোকান বিক্রি করে ৫০ টাকা৷ তেলের দামও বৃদ্ধি নিয়েছেন এই দোকান৷ রমজান সামনে রেখে এসব দোকানদাররা মালমাল মজুদ করে বেশি দামে বিক্রি করছেন৷ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবী৷

বিশ্বনাথ স্টোরের মালিক তপন বিশ্বাস উখিয়া বার্তা ডটকমকে জানান, আমরাও অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয় করি তাই বিক্রি করছি৷ আমরা সবকিছু হাতে রেখে বিক্রি করছি৷ উপজেলা প্রশাসনকে বড়বড় অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করি৷ প্রশাসন আমাদের হাতে আছে৷

খুচরা বিক্রেতা নুরুল ইসলাম উখিয়া বার্তা ডটকমকে জানান, আমার খুচরা বিক্রি করি৷ আমাদের কিছু করার নেই৷ আমরা উখিয়ার বড় পাইকারি দোকান থেকে মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ক্রয় করি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি৷ আগে বড়বড় পাইকারি দোকান বন্ধ হলে আমাদেরও বন্ধ হবে৷ আমি দিনে এনে দিনে বিক্রি করছি৷

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো কামরুল হোসেন চৌধুরী উখিয়া বার্তা ডটকমকে জানান, উপজেলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা বসেছি৷ তাঁরা যাতে রমজান সামনে রেখে অতিরিক্ত মূল্য না নেওয়ার আশ্বাস করেন৷ এরপরেও যদি কোনো ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মূল্য রাখে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

পাঠকের মতামত: