কক্সবাজার, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটের জৈন্তাপুরে রোহিঙ্গা তরুণ আটক

সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৪৮ বিজিবি মিনাটিলা বিওপি সদস্যরা। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার ১২৮৩ নম্বর পিলারের ৫০০ গজ ভেতরে ঝিঙ্গাবাড়ী গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক রোহিঙ্গা যুবক মিয়ানমারের মুংডু জেলার ডংখালি গ্রামের বাছা মিয়া ও বানু বেগমের ছেলে আনিসুর রহমান (২০)। আটকের পর বিজিবি সদস্যদের কাছে রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দেন তিনি।

৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা তরুণ জানান, সাত বছর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তখন উখিয়ার জামতলী টেংখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এক মাস অবস্থান করেন। তারপর সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসেন। বোয়ালখালী সিএফএস এলাকায় কয়েক বছর রাস্তার পিচঢালাইয়ের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভালো কাজের সন্ধানে ট্রেনে করে সিলেটে আসেন। সিলেটের উপশহর এলাকায় মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাই হয় তাঁর। পরে উপশহর এলাকায় কয়েক দিন রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। শনিবার জাফলং এলাকায় বেড়াতে আসেন। পরে ওই দিন বিকেলে ঝিঙ্গাবাড়ী এলাকায় অবস্থান করলে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাঁরা মিনাটিলা বিওপিতে খবর দেন।

বিজিবি আরও জানায়, খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করে রাতে জৈন্তাপুর মডেল থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে কিছু জামা কাপড় ও বালিশ পাওয়া যায়। তাঁর সঙ্গে একটি খাতা, একটি কলমও রয়েছে। এতে কোথায়-কখন যাতায়াত করেন তা লিখে রাখেন।

৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ক্যাম্প থেকে পালিয়ে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিলেন। শনিবার মিনাটিলা বিওপির সদস্যদের হাতে আটকের পর তাঁর কাছে কোনো পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে রাতে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে তাঁকে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, বিজিবি রোহিঙ্গা যুবকে আটকের পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে। তাঁকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

পাঠকের মতামত: