কয়েকটা দিন পেরোলেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর কক্সবাজারের রামুতে মোট ২৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপন করা হবে।
রামু কেন্দ্রীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদ কালবেলাকে জানিয়েছে, এ বছর ২৩টি মণ্ডপ ও ১৩টি ঘট পূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন করা হবে। এসব মণ্ডপে নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপন করতে প্রশাসনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
সরেজমিনে স্থানীয় মৃৎশিল্পী নারু বিকাশ দাশের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি শেষ মুহূর্তে প্রতিমা সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ছাড়াও তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছেন বলেও জানান কালবেলাকে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদুল হক জনি বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রামুর মানুষ সম্প্রীতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপন করতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বদ্ধপরিকর। আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
এ ছাড়াও রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে অবাধ, সুন্দর ও আড়ম্বরভাবে পূজা উদ্যাপন করতে পারে রামু থানা পুলিশ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়াও প্রতিটি মণ্ডপ কমিটির সঙ্গে নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আমাদের সার্বক্ষণিক আলোচনা চলছে।
পাঠকের মতামত: