কক্সবাজার, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

এক বছরে অন্তত ৬০ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে

টেকনাফে অপহরণ বন্ধে যৌথ অভিযানসহ ১২ দফা দাবিতে মানববন্ধন

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় বন্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনাসহ ১২ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।

বুধবার সকাল ১১টায় টেকনাফের হ্নীলা স্টেশনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, এক বছরে অন্তত ৬০ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে। এখন টেকনাফ হয়ে উঠেছে আতঙ্কের জনপদ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতেও ভয় পাচ্ছে। এসব অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

বিক্ষোভকারীদের ১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গা ডাকাত কর্তৃক স্থানীয়দের অপহরণ বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, রোহিঙ্গা ডাকাত ও স্থানীয় ডাকাত নির্মূলে দ্রুত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পাহাড়ভিত্তিক যৌথ অভিযান পরিচালনা, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা, রোহিঙ্গা ডাকাতদের সহযোগিতাকারী স্থানীয় দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরে-বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল নিশ্চিত করা, সিআইসি অফিস এবং এপিবিএন এর কার্যক্রম আরো গতিশীল করা এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্যাম্পের বাইরে থাকা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভিতরে নিয়ে আসতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে, ক্যাম্পের বাইরে কর্মরত রোহিঙ্গা এবং টমটম অটোরিকশা ও সিএনজি চালানোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্যাম্পভিত্তিক এনজিও চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা, টেকনাফের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করা।

কর্মসূচিতে উপজেলার রংগীখালী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, হ্নীলা মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ, শাহ মজিদিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়, আলফালাহ একাডেমি, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লেদা উচ্চ বিদ্যালয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি, হ্নীলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতিসহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে।

হ্নীলা বাজার কমিটির সদস্য মুফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মো. সায়েম সিকদারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হ্নীলা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহির আহমদ, হ্নীলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর আল মাসুদ, হ্নীলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাহাদুর শাহ তপু, আল-ফালাহ একাডেমির ভাইস প্রিন্সিপাল মো. রফিক, হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, মসজিদিয়া মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নুরুল আমিন, মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যাপক ফেরদৌস, ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি শাকের আহমদ, নুরুল হোছাই আজাদ, আব্বাস আলী, ডা. মো. সোহেল, আবছার কামাল নোবেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাইফুল ইসলাম।

পাঠকের মতামত: