দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্যমতে, কক্সবাজার জেলার মোট গণনাকৃত জনসংখ্যা ২৮ লাখ ২৩ হাজার ২৬৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬২২ জন এবং নারী ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩ জন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
কক্সবাজার জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ছরওয়ার কামাল টারজান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথম ডিজিটাল জনশুমারিতে কক্সবাজার জেলায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঠিক চিত্র উঠে এসেছে। মানুষের মধ্যে উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছিল এ জনশুমারি তথ্যের মাধ্যমে তা দূর হবে। সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
ধর্মভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে কক্সবাজারের মোট জনসংখ্যার ৯৪.৫৭ শতাংশ মুসলিম, ৩.৮৩ শতাংশ হিন্দু, ১.৫০ শতাংশ বৌদ্ধ, ০.০৭ শতাংশ খ্রিস্টান ও ০.০৩ শতাংশ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। জেলার গড় বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়ে ১.৮৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা ২০১১ সালে ছিল ২.৫৫ শতাংশ। জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৩৩৩ জন।
কক্সবাজার জেলার মোট খানার সংখ্যা ৫ লাখ ৮৭ হাজার ১১৪টি। যার মধ্যে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৫টি পল্লী এলাকায় ও ২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪৯টি শহর এলাকায় অবস্থিত। জেলায় বর্তমানে খানার গড় আকার ৫.০৯ যা ১৯৯১ সালে ছিল ৬.৪৯, ২০১১ সালে ছিল ৫.৫৮ এবং ২০২২ সালে ছিল ৫.০৯।
অপরদিকে, কক্সবাজার জেলায় বর্তমানে বাসগৃহের সংখ্যা ৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৮০টি যার মধ্যে ২ লাখ ৮১ হাজার ৭৯২টি পল্লী এলাকায় ও ১লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৮টি শহর এলাকায় অবস্থিত।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাস, জেলা ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
এ-সময় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মারুফ, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোলাইমান চৌধুরী, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকার পরিচালনা সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দীন, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর এড. সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা।
পাঠকের মতামত: