ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের হুমকির পর শনিবার (২৪ জুন) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভাষণে তিনি সব বাহিনীকে সংহতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ভাষণ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ভাষণে তিনি বলেন, যা কিছু ঘটছে, তা ‘বিশ্বাসঘাতকতা’। এটি ‘দেশের জনগণের পিঠে ছুরি চালানোর শামিল’।
শনিবার (২৪ জুন) এক অডিও বার্তায় ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন মস্কোর সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দেন। তিনি বলেন, তিনি ও তাঁর বাহিনীর ২৫ হাজার সেনা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছেন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য তাঁরা ইউক্রেনের সীমানা পেরিয়ে রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন শহরে ঢুকে পড়েছেন এবং একটি সামরিক স্থাপনার দখল নিয়েছেন বলেও দাবি করেন প্রিগোজিন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, সংকট মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সুরক্ষা দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন তিনি।
তবে টেলিভিশনে প্রচারিত সংক্ষিপ্ত ওই ভাষণে একবারও প্রিগোজিনের নাম উচ্চারণ করেননি পুতিন। তিনি শুধু ওয়াগনার গ্রুপের নাম উল্লেখ করেছেন এবং রাশিয়ার জন্য লড়াই করায় বাহিনীর যোদ্ধাদের প্রশংসা করেছেন।
পুতিন বলেন, কারও কারও প্রচণ্ড উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। যাঁরা রাশিয়ার সমাজে বিভক্তি তৈরি করবেন, তাঁদের অনিবার্যভাবে সাজার মুখোমুখি হতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি
পাঠকের মতামত: