মিয়ানমার থেকে আগস্ট থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত টেকনাফ বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৭৭ দশমিক ৪৯৪ মেট্টিক টন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে এখনও পিয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
দেশের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা পিয়াজ আমদানি করছেন। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু হয়, এখনও আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দশ ব্যবসায়ীর ৯৬৩ দশমিক ২৯৫ মেট্টিক টন পিয়াজ এসেছে। এর আগের দিন এসেছে ১২৮৯ দশমিক ৬৩০ মেট্টিক টন। এ নিয়ে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে ২০ দফায় ২৩ হাজার ৬০৩ দশমিক ৯৯৫ মেট্টিক টন পিয়াজ আমদানি হলো।
এর আগে জানুয়ারি মাসে ১৫ হাজার ৭৬৫ দশমিক ১৩৯ মেট্টিক টন, ডিসেম্বর মাসে ১৪ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৬০৯ মেট্টিক টন, নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্টিক টন, অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্টিক টন পিয়াজ আমদানি হয়েছিল। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে ৩৫৭৩ মেট্টিক টন এবং আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্টিক টন পিয়াজ আমদানি হয়।
তবে চলতি অর্থ বছরের আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পিয়াজ এসেছে ১ লাখ ৭৭ দশমিক ৪৯৪ মেট্টিক টন।
ব্যবসায়ীরা জানায়, চাহিদা থাকায় মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত পিয়াজ স্থানীয় বাজার ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তবে পিয়াজ কাঁচা মাল হওয়ায় আমদানিতে ঝুঁকি বেশি, তারপরও বাজার চাহিদার কথা বিবেচেনা করে আমদানি করা হচ্ছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, এই চলতি মাসে মিয়ানমার থেকে ২০ দফায় ২৩ হাজার ৬০৩ দশমিক ৯৯৫ মেট্টিক টন পিয়াজ আমদানি হয়েছে। দেশের চাহিদা থাকলে পিয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে। আমদানিকৃত পিয়াজ দ্রুত সময়ে বন্দরের কার্যক্রম শেষ করে সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু দেশের চাহিদা পূরণে পিয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোহর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুযায়ী পিয়াজ আমদানি করছেন। আমদানিকৃত পিয়াজ দ্রুত সময়ে খালাস করা হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পিয়াজ ভর্তি ট্রাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশ্যে স্থলবন্দর ছেড়ে গেছে।
পাঠকের মতামত: