রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে যাচাই-বাছাই করতে মিয়ানমারের ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে স্পিডবোটে নাফ নদ পার হয়ে টেকনাফের জালিয়াপাড়ার ট্রানজিট ঘাটে পৌঁছান প্রতিনিধিদলটি। সেখানে কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল তাদের স্বাগত জানান।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দোজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে টেকনাফে পৌঁছায়। এ সময় তাদের নিরাপত্তা দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরপর প্রতিনিধিদলের সদস্যদের একটি গাড়িতে করে টেকনাফ স্থলবন্দর মালঞ্চ রেস্টহাউসে আনা হয়। এরপর তাদের সঙ্গে নিয়ে সকলে যান টেকনাফের কেরুনতলীস্থ প্রত্যাবাসন ঘাটে। ওখানে দ্বিপক্ষীয় একটি বৈঠক শুরু হয়।
বাংলাদেশের পাঠানো তালিকা থেকে মিয়ানমার যেসব রোহিঙ্গাকে তাদের নাগরিক হিসেবে যাচাই-বাছাই করে ফিরতি তালিকা দিয়েছিল, তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এ বৈঠক হওয়ার কথা।
শরণার্থীবিষয়ক কমিশন সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটির রুট ম্যাপ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে এ বৈঠক মানে প্রত্যাবাসন শুরু নয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা, খুন-সংঘাত যেন নিত্যদিন!
এদিকে শরণার্থী কমিশনের দাবি, বাংলাদেশ মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩০ হাজারের মতো রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছিল। সেখান থেকে বেছে নেয়া হয়েছে মাত্র ৬০ হাজারের মতো।
তালিকা ধরে এর আগেও দুবার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু রোহিঙ্গাদের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প ও ভাসানচরে আশ্রিত আছেন।
পাঠকের মতামত: