ভূমিকম্পে কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার বিকাল ৪টা ৩৯ মিনিটে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ২০ দশমিক ৯০ অক্ষাংশ এবং ৯২ দশমিক ৩৩ দ্রাঘিমাংশে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৩৭৭ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কেন্দ্রের কার্যালয়ে ফাটলের বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বাড়ি-ঘরে ফাটলের খবর জানা যায়।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কক্সবাজার
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “বিকালে ভূকম্পন অনুভূত হওয়ায় তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বের হয়ে যাই। পরে এসে অফিস ভবনের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখতে পাই।”
টেকনাফ পৌর এলাকার বাসিন্দা দিদারুল আলমের ভাষ্য, “গত ৬-৭ বছরে কয়েকটি ছোট ভূমিকম্প হয়েছিল। কিন্তু আজকের মতো বড় ধরনের ঝাঁকুনি অনুভূত হয়নি। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আমার বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।”
টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন বলেন, “আমার জীবনে এত বড় ভূমিকম্প দেখিনি। কিন্তু এখানে অনেকে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করছে। ফলে ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বেশি রয়েছে এখানে।”
টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ জানান, টেকনাফে বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্পের ঝাঁকুনির খবর এসেছে। তবে ক্ষয়-ক্ষতির খবর এখনও আসেনি। আমরাও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছি।”
পাঠকের মতামত: