কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে বৃহৎ অত্যাধুনিক মারকাজ জামে মসজিদ। শহরের ঐতিহ্যবাহী গোলদীঘির পাড়ের পশ্চিম পাশে প্রায় ৩৬ শতক জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে আধুনিকমানের দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদ। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর ওই আধুনিক মসজিদের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ।
কউক সূত্রে জানা যায়, অর্ধশত বছরের পুরনো মসজিদটির সামনে অত্যাধুনিক পুকুর সংস্কার করা হচ্ছে যা মুজিব বর্ষে উদ্বোধন করা হবে। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন পুকুরের সামনে পুরনো মসজিদ বেমানান হবে বিদায় কউক চেয়ারম্যান বিষয়টি আমলে নিয়ে মসজিদটিকে আধুনিকমানের করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর পুরনো মসজিদটি গত কয়েক মাসে ভেঙে ফেলা হয়। তারপর কউকের নিজস্ব আর্কিটেক্ট ফোরামের কনসালটেন্ট আইনুল ইসলামকে দিয়ে মসজিদটির ডিজাইন করেন কউক চেয়ারম্যান। মসজিদটিতে ৭০ ফুট উচ্চতার গম্বুজ, ২০টি টয়লেট ও প্রশ্রাবখানা থাকবে। এ ছাড়া থাকবে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি ও হেফজখানা। মসজিদটির কারুকাজে আরবি ক্যালিওগ্রাফি ও আল্লাহ লেখা ডিজাইনের ফোয়ারাসহ আধুনিক নানা স্থাপনা ব্যবহার করা হবে। নানা রঙের মার্বেল পাথরসহ বিভিন্ন পাথরে কারুকাজ দ্বারা নির্মিত দোতলা বিশিষ্ট এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১১শ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। রয়েছে আলাদা অজুখানা এবং নামাজের ব্যবস্থা। ২৪ ঘণ্টা পানি ব্যবহারের সুবিধার পাশাপাশি আধুনিক অজুখানা, এয়ারকন্ডিশন ও ফ্যান ছাড়াও থাকবে শ্বেত পাথরের টাইলস, বিছানো হবে কার্পেট।
এ ছাড়া মসজিদের চারপাশে ফুল বাগান তৈরি করা হবে। থাকবে লাইটিং ব্যবস্থা এবং সামনে খালি জায়গাও রাখা হয়েছে। কোটি টাকায় নির্মিত মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য ইতিমধ্যে কউক চেয়ারম্যান মসজিদের ব্যাংক হিসাবে ৪০ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। তিনি আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণে সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেছেন।
কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, নাম কিংবা পরিচিতির জন্য নয়, মূলত আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি পেতেই সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছি। কক্সবাজারের সন্তান হিসেবে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উন্নয়ন ও পরিবর্তন আনার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি মসজিদ নির্মাণে সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেন।
পাঠকের মতামত: