কক্সবাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৯৩ লাখ ঘুষের টাকাসহ মোহাম্মদ ওয়াসিম (৪৫) নামে এক সার্ভেয়ারকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১৫)। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার শহরে অভিযান চালিয়ে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক সার্ভেয়ার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরত। এ সময় উক্ত নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ও নথিপত্র উদ্ধার হয়। র্যাবের অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে অপর দুই সার্ভেয়ার ফরিদ ও ফেরদৌস পালিয়ে গেছেন বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-১৫ রামু ব্যাটালিয়নের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকালে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া ও তারাবনিয়ারছড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় শহরের তারাবনিয়ারছড়ায় বসবাসরত মোহাম্মদ ওয়াসিমের বাসা থেকে নগদ ছয় লাখ, বাহারছড়া এলাকায় সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ফরিদের বাসা থেকে নগদ ৬০ লাখ ও মোহাম্মদ ফেরদৌসের বাসা থেকে ২৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সার্ভের মোহাম্মদ ওয়াসিমকে আটক করা সম্ভব হলেও অপর দুই সার্ভেয়ার ফরিদ ও ফেরদৌস র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। এরা প্রত্যেকেই কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরত’।
মেজর মেহেদী হাসান আরও বলেন, ‘কক্সবাজারে মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সরকারের বেশ কয়েকটি মেগা-প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সরকারের ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমও চলমান। এ ভূমি অধিগ্রহণকে ঘিরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র জমির মালিকদের নানাভাবে জিন্মি করে বড় অংকের কমিশন বাণিজ্য করে আসছে। এর প্রেক্ষিতে ভূক্তভোগী বেশ কয়েকজন জমির মালিক র্যাবসহ বিভিন্ন আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ঘুষের ৯৩ লাখের বেশি টাকাসহ উক্ত সার্ভেয়ারকে আটক করা হয়। এসময় বিভিন্ন ব্যাংকের অনুকূলে বেশ কয়েকটি চেক ও নথিপত্রও উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
পাঠকের মতামত: