ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসন জরুরি। এছাড়া বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে আগামী দিনে আরো গভীর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা প্রসার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জাপানের সম্রাট নারুহিতোর জন্মদিন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার ( ১৮ ফেব্রুয়ারি ) সন্ধ্যায় জাপান দূতাবাসে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
জাপান সম্রাট নারুহিতোর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আশ্রয় দিয়েছে। তবে এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসন হওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতীম দেশ। জাপান বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশে ৩০৯টি জাপানের কোম্পানি বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। আমরা আশা করি, আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে আরো সহযোগিতা বাড়বে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জাপানের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। জাপান আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই সমর্থন করেছিলো। সেখান থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। জাপানীদের কাজে সুনাম রয়েছে। মেঘনা ব্রীজের ক্ষেত্রে ছয় মাস আগেই দেশটি কাজ শেষ করেছে। আবার অতিরিক্ত অর্থও ফেরত দিয়েছে। এসব আমাদের মনে রাখা জরুরি। তিনি বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রসারে আশা প্রকাশ করেন।
দূতাবাসে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সস্ত্রীক যোগ দেন। এসময় জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো তাকে স্বাগত জানান। এমডি সায়েম সোবহান আনভীর জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বিশালাকায় ফুলের গুচ্ছ দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ।
পাঠকের মতামত: