ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। ৫ মিনিট আল্ভারেজের অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় দিগুণ গোলে। প্রথমার্ধে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আলবিসেলেস্তেরা। বিরতি থেকে ফিরে ৬৯ মিনিটে আবারও গোল দেন আলভারেজ। মেসির অসাধারণ পাস থেকে এই গোল দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের ব্যবধানে জিতে আর্জেন্টিনা। আগামীকাল ফ্রান্স-মরক্কো ম্যাচের জয়ী দল ১৮ তারিখ ফাইনালে লড়বে স্কালোনির শিষ্যরা।
আলভারেজের জোড়া গোল, ৩-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা
৬৯ মিনিটে মেসি ডানদিকে বল পেয়েই এগিয়ে আসেন ডি বক্সের দিকে। পাশে দুজন থাকলেও মেসিকে থামাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়ার কোনো ডিফেন্ডার। একদম লাইনের পাশ থেকে গোলমুখে অসাধারণ পাস দেন মেসি। সেখানে থাকা আলভারেজ আলতো টোকায় জড়িয়ে দেন জালে। ৩-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।
মেসি-আলভারেজের গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা
প্রথমার্ধ শেষে দুই গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথমে গোল দেন মেসি। তার ৫ মিনিট পরেই আলভারেজের দুর্দান্ত গোলে লিড ডাবল করে আলবিসেলেস্তেরা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো নকআউট পর্বে ২-০ গোলে এগিয়ে আছে আর্জেন্টিনা। ২০১০ সালে মেক্সিকোর বিপক্ষে শেষ ষোলোতে এগিয়ে ছিল একই ব্যবধানে। অন্যদিকে দ্বিতীয়বারের মতো প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে আছে ক্রোয়েশিয়া। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা ৫টি আক্রমণ করে, যার মধ্যে ৪টি ছিল অন টার্গেট। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ৪টি শট নিলেও একটিও অন টার্গেট ছিল না।
আলভারেজের দুর্দান্ত গোল
মেসির পর আলভারেজের গোল। ৩৯ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল দেন তিনি। ২-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে বল পেয়েই ভোঁ দৌড় দেন আলভারেজ। তাকে আটকাতে পারেননি ক্রোয়েশিয়ার কোনো ডিফেন্ডার। গোলরক্ষকের খুব কাছে গিয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বল জড়ান জালে।
মেসির গোল
৩৪ মিনিটে মেসির পেনাল্টি থেকে গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ৩১ মিনিটে গোলরক্ষক লিভাকোভিচ আলভারেজকে ফাউল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। হলুদ কার্ড দেখেন গোলরক্ষক। প্রতিবাদ করতে এলে কোভাচিচ। ডান দিকে দারুণ শটে গোল দিয়ে এগিয়ে দেন মেসি। বিশ্বকাপে এটি তার পঞ্চম গোল। এ ছাড়া সব মিলিয়ে ১১ গোল।
২৫ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য
২৫ মিনিট পর্যন্ত আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়ার কেউই কোনো গোল দিতে পারেনি। তবে লড়ছে সমানতালে। আর্জেন্টিনা ২ শট নিয়েছে, ১টি অন টার্গেট। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ১টি শট নিয়েছে।
আর্জেন্টিনা একাদশ
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, নাহুয়েল মলিনা, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, নিকোলাস টাগলিয়াফিকো; লিয়ান্দ্রো পারেদেস, রদ্রিগো ডি পল, এনজো ফার্নান্দেজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, লিওনেল মেসি ও ইউলিয়ান অ্যালভারেজ।
দুই দলের লড়াই
বিশ্বকাপে আগে দুইবার একে অন্যের সঙ্গে খেললেও এবারই প্রথম নকআউটে দেখা হচ্ছে তাদের। বিশ্বমঞ্চে আগের দুই দেখায় একটি করে জিতেছে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। সব মিলিয়ে পাঁচবারের দেখায় দুটি করে জয় দুই দলের, অন্যটি ড্র। প্রথমবার দুই দলের সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯৯৪ সালের জুনে। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে দুই দলের কেউ গোলের দেখা পায়নি, শেষ হয় গোলশূন্য ড্রতে। চার বছর পর ফ্রান্স বিশ্বকাপে গ্রুপ ম্যাচে প্রথম দেখা হয়, সেখানে মাউরিসিও পিনেদার একমাত্র গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। ২০ বছর পর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় দুই দল। গ্রুপ পর্বের ওই ম্যাচে আন্তে রেবিচ, লুকা মদরিচ ও ইভান রাকিতিচের দ্বিতীয়ার্ধের গোলে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারায় ক্রোটরা।
আর্জেন্টিনার যাত্রা
আর্জেন্টিনার কাতার বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হারের পর মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়া ও কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসবধ করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
ক্রোয়েশিয়ার যাত্রা
ক্রোয়েশিয়া মরক্কোর সঙ্গে ড্র করার পর কানাডাকে হারায়। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বেলজিয়ামের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে নকআউটে ওঠে তারা। জাপান ও ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনালে গতবারের রানার্সআপরা।
পাঠকের মতামত: