আব্দুস সালাম, টেকনাফ::
কক্সবাজারের টেকনাফে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের দুই সদস্যকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আসামির নাম শামশুল আলম প্রকাশ এটিএম শামসু। তিনি বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সিঃ যুগ্ম সম্পাদক ও বাহারছড়ার শীলখালী এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালু মিয়ার ছেলে। আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জামাল মীর ও কনস্টেবল মো. ইমরান।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাতে কথা বলে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সিঃ যুগ্ম সম্পাদক শামশুল আলমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করতে গতকাল রাতে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে যায় পুলিশের একটি টিম। সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে শামশুলসহ তাঁর সাথে থাকা লোকজন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জামাল মীর ও কনস্টেবল মো. ইমরানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে যান এবং শামশুলকে গ্রেপ্তার করে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
পুলিশ পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বলেন, চাঁদাবাজি মামলায় এজাহারে উল্লিখিত দুই নম্বর আসামি যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের দুই সদস্যকে মারধর করা হয়। এতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হন। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী মাঝেরপাড়ায় একোয়া শ্রিম্প হ্যাচারির (নারিশ কোম্পানি) কেনা প্রায় ২০ একর জমি আছে। গত ২২এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজ চলা অবস্থায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সেখানে থাকা নির্মাণ শ্রমিকদের উপর চড়াও হন এলাকার ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা। জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে কোম্পানির কর্মকর্তাকে হুমকি দেন তাঁরা। চাঁদা দিতে না চাইলে তাঁরা কোম্পানির নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করেন এবং মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা এক্সকাভেটর মেশিনসহ কিছু যন্ত্রপাতি ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় ২৬এপ্রিল ১২জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
একোয়া শ্রিম্প হ্যাচারির (নারিশ কোম্পানি) এর কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা জানানোয় তাঁরা শ্রমিকদের মারধর ও বিভিন্ন ধরনের মালামাল লুট করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: