তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ প্রথম খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। এরপর যখন বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসেন তখন আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সংবর্ধনা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক মো. সেলিম উদ্দিন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনঃনির্মাণ করে দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নেয়র ক্ষেত্রে যুবলীগ ভ্যানগার্ডের মত বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে কাজ করেছে। আজকে বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে বাংলাদেশ বহু আগে দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা সিঙ্গাপুর থেকে উন্নত দেশে পরিণত হতো। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। যেটি আমরা ১৭-১৮ অর্থ বছরে অতিক্রম করতে পেরেছি মাত্র। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ৪২ বছরের পথ চলায় আমরা সেটি অতিক্রম করতে পারিনি। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেটি অতিক্রম করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কারণে আমরা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে পারিনি। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। মানুষ যাতে আমাদের দলকে আবারো ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনে সেজন্য যুবলীগকে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সমগ্র দেশ বদলে গেছে। এখন দেশের কোথাও ছেড়া কাপড় পড়া ও খালি পায়ে মানুষ দেখা যায়না, গ্রামের কোথাও কুঁড়েঘর দেখা যায়না। গ্রামের মেঠোপথগুলো এখন পিচঢালাই পথে রূপান্তরিত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীতে যদি মিথ্যা কথা বলার জন্য কোন পুরস্কার দেয়া হতো তাহলে সেটার প্রথম পুরস্কার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পেতেন। মিথ্যা বলার ক্ষেত্রে তিনি প্রতিদিন নিজের রেকর্ড ভাঙছেন। মির্জা ফখরুল প্রতিদিন একই রেকর্ড বাজাচ্ছেন। একই রেকর্ড এতো বেশি বাজিয়েছেন এখন তার রেকর্ডটাই ভেঙ্গে গেছে।
পাঠকের মতামত: