রোহিঙ্গা শিবিরের অন্দরের তথ্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী, এটা কী করে সম্ভব? অন্দরকে সদর করে ফেলার এই অনুসন্ধানে নেমেই খোঁজ মিলল একদল রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীর। তারা শিখছে খবর লেখার কলাকৌশল, আত্মস্থ করছে ছবি তোলার বিভিন্ন কৌশল। শিখছে টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও রেডিওতে সংবাদ উপস্থাপনার কায়দাকানুন।
তাদের এসবের পেছনে রয়েছে দুটি বিদেশি এনজিও। সরকারের অনুমতির তোয়াক্কা না করে এ কাজ অব্যাহত রেখেছে তারা। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বার বার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হওয়ার নেপথ্যেও এদের বড় ভূমিকা রয়েছে।
সাংবাদিকতার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ পাওয়া রোহিঙ্গাদের কয়েকজন বলছেন, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ভেতরের খবর সাংবাদিকরা বেশিরভাগ সময়ই জানতে পারেন না। জানলেও সবকিছু প্রকাশ হয় না। এর বিকল্প হিসেবে এখন তারা নিজেরাই সংবাদ প্রচার করেন। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এসব তথ্যচিত্র ও সংবাদ ইউটিউব এবং ফেসবুকে শেয়ারের পাশাপাশি পাঠিয়ে দেন বিদেশি কিছু গণমাধ্যমে। তারা এটিকে ‘নিজেদের অধিকার, বিশ্বকে জানানোর প্রধান কৌশল’ বলে মনে করছেন।
মিয়ানমারের বর্বরতা থেকে বেঁচে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা কোথায় কীভাবে সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ নিলেন- তা উঠে এসেছে সমকালের সরেজমিন অনুসন্ধানে।
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের ৩ নম্বর ক্যাম্পে গত ১২ অক্টোবর পা রাখেন এই প্রতিবেদক। ঢালু পথ ধরে সামনে এগোতেই চোখে পড়ে পাশের একটি তাঁবুর নিচে জটলা লেগেছে। একদল রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলছে দুই কিশোর-কিশোরী ইয়াকুব ও শেকাফা। মূলত সাক্ষাৎকার নিচ্ছে তারা। একটি রেডিওর জন্য অনুষ্ঠান নির্মাণ করা হচ্ছে- এই সাক্ষাৎকার তারই অংশ। ক্যাম্পের হালচাল, রোহিঙ্গাদের জীবনযাপনের চিত্র ও অভাব-অভিযোগই এ অনুষ্ঠানের বিষয়।
ইয়াকুব এবং শেকাফাও রোহিঙ্গা। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বুচিডং থেকে পরিবারের সঙ্গে এপারে চলে আসে তারা। পড়ালেখা জানা আছে তাদের। ওই বছরের শেষ দিকে তারা যোগ দেয় বিদেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইন্টারনিউজে।
ইয়াকুব ও শেকাফা সমকালকে জানায়, শুরুতে তারা ইন্টারনিউজ আয়োজিত দীর্ঘমেয়াদি একটি কর্মশালায় অংশ নেয়। তাদের মতো আরও ১৪ জন রোহিঙ্গা এ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। কীভাবে সংবাদ লিখতে হয়, কীভাবে রেডিওতে উপস্থাপনা করতে হয় এবং কীভাবে ছবি তুলতে হয়, এসব বিষয়ে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাদের।
১৩ অক্টোবর দুপুরে কুতুপালংয়ের ৭ নম্বর ক্যাম্পে একটি তাঁবুর নিচে সমকালের সঙ্গে কথা হয় দুই রোহিঙ্গা নূর এবং ইউসুফের। এখন আর তারা ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক’ পরিচয়ে সীমাবদ্ধ নন, তারা এখন ইন্টারনিউজের ‘কমিউনিটি প্রতিনিধি’। নূর বলছিলেন, তারা এখন নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারেন। তাদের অভ্যন্তরের
ভালো-মন্দ অবলীলায় প্রকাশ করতে পারেন। নানা ইস্যুতে রেডিও অনুষ্ঠান তৈরি করেন। খবর লিখতে পারেন। ছবি তুলতে এবং ছবির ক্যাপশন লিখতেও পারদর্শী তারা।
নূর এবং ইউসুফ জানান, ইন্টারনিউজের জন্য প্রামাণ্যচিত্রের কাজও করছেন তারা। রোহিঙ্গা শিবিরের যে কোনো বিষয় জানতে তারা সব সময় তৎপর রয়েছেন। কোনো বিষয় তুলে ধরার মতো মনে হলেই সেটি লিখে জানান ইন্টারনিউজ কর্তৃপক্ষকে। কখনও বিদেশি গণমাধ্যমে, কখনও-বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। ইন্টারনিউজ থেকে পাওয়া প্রশিক্ষণের কারণেই এসব সক্ষমতা অর্জন করেছেন বলে জানান এই দু’জন।
ইন্টারনিউজের প্রশিক্ষণে ‘নিজের অধিকার’ সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন আরেক তরুণ আবুল কাশিম। এখন তিনি ক্যাম্পের অন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যেও অধিকারের বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে ব্যস্ত। বিদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তথ্য দেওয়ার কাজও সুনিপুণভাবে করছেন তিনি।
কুতুপালং ৪ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি কার্যালয়ের পাশের একটি চা দোকানে আলাপের একপর্যায়ে কাশিম সমকালকে জানান, ২০১৭ সালের শেষ দিকে কয়েকজন শিক্ষিত রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীকে নিয়ে সাংবাদিকতার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ট্রেনিংয়ের নাম ছিল ‘সিটিজেন জার্নালিজম’। এই কার্যক্রমের একদম গোড়ার দিকের কথাও বর্ণনা করেন তিনি। হাতে থাকা স্মার্টফোনে প্রশিক্ষণকালের কিছু ছবি দেখান। কোনো একটি ঘটনাকে ঘিরে রিপোর্ট করতে চাইলে কীভাবে ‘ইন্ট্রো’ লিখতে হবে, বর্ণনা করতে হবে এবং ছবির ক্যাপশন লিখতে হবে- এসব বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয় তাদের।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দৌজা সমকালকে বলেন, ‘কোনোভাবেই রোহিঙ্গাদের মধ্যে এ ধরনের কর্মশালা দেওয়ার বিধান নেই। তাদের এ ধরনের কাজে প্রশিক্ষিত করার পেছনে নেতিবাচক কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ইন্টারনিউজের রহস্যজনক ভূমিকা : ইন্টারনিউজের প্রধান কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্কাটায়। বাংলাদেশে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মাঈন উদ্দিন আহমেদ। একসময় তিনি রোহিঙ্গাদের নিয়ে অপতৎপরতার অভিযোগে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ বিদেশি সংস্থা মুসলিম এইডের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইন্টারনিউজ প্রধানত বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের নানা রকম কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। তবে বাংলাদেশে এ সংস্থাটির কাজের কোনো অনুমোদন নেই।
নতুন সাংবাদিক বানানোর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে সক্রিয় রয়েছে ইন্টারনিউজ। আর তাদের প্রধান টার্গেট ইয়াকুব ও শেকাফার মতো রোহিঙ্গারা। এ কাজে তারা সফলতাও দাবি করছে। ইন্টারনিউজ তাদের এ উদ্যোগকে ‘রোহিঙ্গাদের নিজেদের অধিকার-কণ্ঠ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম’ হিসেবে প্রচার করলেও মূলত এখানে নীরবে তথ্য পাচারের ঘটনা ঘটে চলেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
এনজিও বিষয়ক ব্যুারোর অনুমোদন নিয়ে দেশে বর্তমানে নানা কাজে যুক্ত রয়েছে ২৫৯টি বিদেশি এনজিও। এগুলোর মধ্যে ১০৮টি সরাসরি রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে নানা কার্যক্রমে যুক্ত। আগস্টের শেষ সপ্তাহে ৪১টি বিদেশি এনজিওকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। এনজিও ব্যুরোর কোনো তালিকায়ও নেই ইন্টারনিউজের নাম।
সরেজমিন জানা যায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে কার্যক্রম শুরু করে ইন্টারনিউজ। শুরুর দিকে এর একটি অফিস ছিল লাম্বেশিয়াতে। পরে প্রশাসনের নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে অফিস গুটিয়ে নেয় তারা। এখন উখিয়ার কুতুপালং বাজারে অফিস রয়েছে তাদের। বিশেষ করে ৩, ৪, ৫, ৭ এবং ১৭ নম্বর ক্যাম্পে তাদের কার্যক্রম বেশি দেখা যায়। সংস্থাটির বিদেশি কর্মকর্তারা দিনের যে কোনো সময় এসব ক্যাম্পে আসা-যাওয়া করেন। এ পর্যন্ত তাদের কোনো নজরদারি বা জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়নি।
বাংলাদেশে ইন্টারনিউজের প্রকল্প প্রধান ভিভিয়েন লুসিয়া ফ্লাক সমকালকে বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কণ্ঠ প্রসারে কাজ করে চলেছেন তারা। ২০১৭ সালে তারা যখন কাজ শুরু করেন, তখন মাত্র ২৩ শতাংশ রোহিঙ্গা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম ছিল। তাদের দুই বছরের কার্যক্রমের ফলে এখন ৯২ শতাংশ রোহিঙ্গা নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে।
ইন্টারনিউজের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাঈন উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে সংস্থাটির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নূরে আলম মিলন দাবি করেন, তারা সরাসরি কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন না। বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্কস ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি) মাধ্যমে তাদের কাজগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। মূলত রেডিও প্রোগ্রাম নির্মাণই তাদের কাজ বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি জানান, বিএনএনআরসির মাধ্যমে তারা মাঝে মধ্যে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। রোহিঙ্গাদের সরাসরি সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না।
তবে বিএনএনআরসির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিরেন পণ্ডিত বলেন, তারা কেবল সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছু কাজ করেন। কক্সবাজারে ‘মা ও শিশু স্বাস্থ্য’ নিয়ে তাদের একটি প্রকল্প রয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণের কোনো কার্যক্রমে তারা যুক্ত নন। রেডিও নাফ তাদের কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেন তিনি।
রেডিও নাফের স্টেশন ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তাদের মাত্র চারজন রিপোর্টার রয়েছে। ইন্টারনিউজ এবং বিএনএনআরসি সরাসরি মাঠপর্যায়ে নানা ইস্যুতে অনুষ্ঠান নির্মাণ করে। সেই অনুষ্ঠান যাচাই-বাছাই শেষে সম্প্রচার করে রেডিও নাফ। ইন্টারনিউজের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে সরাসরি অনুষ্ঠান নির্মাণের কাজ করার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন সিদ্দিকুর।
কুতুপালং শিবিরের তিন নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নর-নারীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী দুই রেডিওকর্মীর কেউই রেডিও নাফের সঙ্গে জড়িত না থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেল সিদ্দিকুরের সঙ্গে আলাপে। তিনি ধারণা করেন, ওই দুই রোহিঙ্গা ইন্টারনিউজের অনুষ্ঠান নির্মাণের সঙ্গে জড়িত।
টিডব্লিউবিরও কোনো নিবন্ধন নেই : রোহিঙ্গাদের সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের কাজ করছে আরও একটি বিদেশি এনজিও ট্রান্সলেটরস উইদাউট বর্ডার (টিডব্লিউবি)। এরও বাংলাদেশে কাজের নিবন্ধন নেই। রোহিঙ্গা শিবির দূরে থাক, এ দেশেই কাজের কোনো নিবন্ধন না থাকা এনজিওর এই তৎপরতা বিস্মিত করছে সবাইকে। স্থানীয় প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে রোহিঙ্গাদের সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
রোহিঙ্গাদের মাতৃভাষা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। অধিকাংশ রোহিঙ্গা মাতৃভাষা বাদে অন্য ভাষা জানে না। ফলে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হলেও তা ভাষান্তর করতে হয়। টিডব্লিউবি সেই কাজটিই করে। বিশেষ করে প্রামাণ্যচিত্র ও রেডিও অনুষ্ঠান নির্মাণের ক্ষেত্রে ইন্টারনিউজের সঙ্গী এই বিদেশি এনজিও। এসব কাজও করে নিযুক্ত রোহিঙ্গারা।
টিডব্লিউবির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা মূলত অনুবাদ নিয়ে কাজ করেন। রোহিঙ্গারা মাতৃভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় কথা বলতে পারে না। তাদের প্রয়োজনেই ভাষা বিষয়ে কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারনিউজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তিনি জানান, যৌথভাবে তারা কিছু কাজ করছেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রত্যাবাসনবিরোধী কিংবা রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কোনো কার্যক্রমে তারা যুক্ত নন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বাংলাদেশে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর বেঞ্জামিন নোবেলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
নামই শোনেনি এনজিও ব্যুরো : এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম বিদেশি বেসরকারি সংস্থা দুটির বাংলাদেশে কাজের অনুমতি না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘নিবন্ধন তো নেই-ই, এগুলোর নামই শুনিনি।’ সরকারের এত নজরদারির মধ্যেও অনিবন্ধিত বিদেশি এনজিও বেআইনি তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ায় বিস্মিত হন তিনি। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, অনিবন্ধিত এনজিওর রোহিঙ্গা শিবিরে কাজের কোনো সুযোগই নেই। বরং যারা নিবন্ধিত, তাদেরও নানা বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে এনজিও ব্যুরো। সেখানে এনজিওগুলোর কর্মপরিধি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, এনজিওগুলোর কার্যক্রম মানবিক সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। প্রত্যাবাসনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়ানো যাবে না। কার্যক্রমে সংযুক্ত কর্মকর্তা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের তালিকা শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। তালিকার বাইরে কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। নগদ অর্থ বিতরণের মতো কার্যক্রমও গ্রহণ করা যাবে না।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চার নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি কার্যালয়ে গেলে ব্যবস্থাপক শাওন হক কোনো মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন। ডেপুটি সিআইসি অরূপ রতন সিনহার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সুত্র : সমকাল
পাঠকের মতামত: