হারিয়ে যাওয়া বা চুরি করা মোবাইল সেট অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ প্রতিটি মোবাইল সেট ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট করে একটি কোড দেওয়া হবে। ওই কোড ছাড়া মোবাইল সেট চালু হবে না। ১ জুলাই থেকে এ পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ৩ মাস পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি পরিচালনা করা হবে। বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগ জানায়, ১ জুলাই থেকে দেশে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম ব্যবহার করে সব অবৈধ ও নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা মোবাইল ফোন শনাক্তের পাশাপাশি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কাজও শুরু করবে।
বিটিআরসি এনইআইআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে ব্যবহৃত অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্ত করবে। পাশাপাশি চালু থাকা ও বৈধভাবে কেনা সব মোবাইল সেট ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট একটি কোড দেওয়া শুরু করবে। আর তাদের দেওয়া ওই কোডটাই হবে মোবাইল ফোনের মূল চাবিকাঠি।
বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম বলেন, ১ জুলাই এনইআইআর পদ্ধতি উদ্বোধন করবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এদিন থেকেই অবৈধভাবে আনা ও চুরি করা কোনো মোবাইল সেট কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ১ জুলাইয়ের পর অবৈধভাবে আসা ফোনগুলো চিহ্নিত করা হবে। পরীক্ষামূলক আগামী ৩ মাস পদ্ধতিটি নিয়ে কাজ করা হবে। এ সময়ে মোবাইল সেটগুলো নিবন্ধনের সময় থাকবে। এসব মোবাইল সেট চালু করতে হলে প্রত্যেককে আমাদের পোর্টালে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। পরবর্তী সময়ে এসব মোবাইল বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। পরীক্ষামূলক তিন মাস এভাবে চলবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম বলেন, যেসব কোম্পানি মোবাইল উৎপাদন করছেন ও বৈধভাবে আমদানি করছেন, তারা সব সময় এমইআই নম্বর বিটিআরসিতে জমা দেন। তাই বৈধভাবে উৎপাদিত বা কেনা কোনো মোবাইল সেট ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা হবে না।
সব ধরনের মোবাইল ফোন নিবন্ধনের সময় বেশ কিছু ডকুমেন্টস চাওয়া হবে। যেমন: বিদেশ থেকে উপহার হিসেবে এলে তার যথাযথ প্রমাণ, আর কেনা হলে তার রশিদসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চাওয়া হবে। বিদেশ থেকে নিয়ে এলে পাসপোর্টের ইমিগ্রেশনের ডকুমেন্টস চাওয়া হবে। যারা নতুন মোবাইল সেট কিনবেন. সেসব গ্রাহককে কেনার সময় চেক করে নিতে বলা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: