প্যারাগুয়েকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। সেইসঙ্গে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে মোট ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রাখল লিওনেল স্কালোনির দল।
তবে এই জয় তুলে নিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের। পুরো ম্যাচজুড়ে ছিল কঠিন লড়াই। খেল দেখিয়েছে প্যারাগুয়েও।
মঙ্গলবার ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। সবমিলে চার ম্যাচ পর প্যারাগুয়েকে হারাতে পারল তারা।
জয়ের গোলটা এসেছে পাপুর পা থেকে আর মেসি ছুঁয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
আর্জেন্টিনার হয়ে এতদিন সর্বোচ্চ ১৪৭ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি একার দখলে রেখেছিলেন সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হাভিয়ের মাচেরানো। আজকের ম্যাচটি দিয়ে মাচেরানোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন মেসি।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবলে আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরে প্যারাগুয়ে। কিন্তু গোলের তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। গোলের উদ্দেশে কেবল দুটি শট ছিল লক্ষ্যে।
আর্জেন্টিনাই পায় প্রথম ভালো সুযোগ। শুরুর অষ্টম মিনিটে হেড করতে গিয়ে পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খান প্যারগুয়ের রবের্ত পিরিস ও গুস্তাভো গোমেস। পেনাল্টি স্পটের কাছে আলগা বল পেয়ে যান সের্হিও আগুয়েরো। তবে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এক বছরের বেশি সময় পর শুরুর একাদশে ফেরা এ স্ট্রাইকার।
কিন্তু গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আক্রমণাত্মক শুরু করা আর্জেন্টিনার। দশম মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। লিওনেল মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে আনহেল দি মারিয়া খুঁজে নেন পাপু গোমেসকে। বাকিটা অনায়াসে সারেন সেভিয়ার এই ফরোয়ার্ড।
অষ্টাদশ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন মেসি। বার্সেলোনা তারকার ফ্রি কিক একটুর জন্য থাকেনি লক্ষ্যে।
ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় প্যারাগুয়ে। তবে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসের তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি তারা।
৪২তম মিনিটে মেসির ফ্রি কিকে বল পান দি মারিয়া। তার ক্রসে হেরমান পেস্সেইয়ার হেড লক্ষ্যেই ছিল কিন্তু ছিল না জোর। সহজেই নিয়ন্ত্রণে নেন প্যরাগুয়ে গোলরক্ষক।
যোগ করা সময়ে দি মারিয়ার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। গোমেসের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন জুনিয়র আলনসো। কিন্তু অফসাইডের জন্য গোল পায়নি আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রক্ষণে নিজেদের কিছুটা গুটিয়ে নেয় তারা। প্রচুর জায়গা পাওয়া প্যারাগুয়ে বল দখলে রেখে চেপে ধরে তাদের।
এক পর্যায়ে টানা চারটি কর্নার পায় প্যারাগুয়ে। কিন্তু একবারও মার্তিনেসের পরীক্ষা নিতে পারেনি তারা। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় আর্জেন্টিনার রক্ষণে গিয়ে খেই হারায় তাদের প্রায় সব আক্রমণ।
প্রতি আক্রমণে ভীতি ছড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা। জাল অক্ষত রেখে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করার দিকেই ছিল তাদের সব মনোযোগ।
পাঠকের মতামত: