ইমাম খাইর::
শিক্ষার্থীদের গোপন পিন পরিবর্তন করে সরকারের দেয়া উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মহেশখালীতে শিক্ষকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- কুতুবজোম তাজিয়াকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আবু ফয়সাল মোহাম্মদ রাশেদ (২৪) এবং স্থানীয় বাজারের মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন (২২)। তারা দুইজন পারস্পরিক যোগসাজসে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মোবাইল একাউন্টের টাকা আত্মসাত করে।
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার (১৩ জুন) সকালে দুই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের নিকট থেকে নগদ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার ওসি মো. আবদুল হাই।
তিনি বলেন, নুরুল ইসলাম নামক একজন সচেতন অভিভাবক অভিযোগ করেন, খণ্ডকালীন শিক্ষক আবু ফয়সাল মোহাম্মদ রাশেদ ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা পেতে সহায়তার দায়িত্বে নিয়োজিত। এ সুবাদে তিনি মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সহযোগিতায় গোপন পিন নাম্বার ব্যবহার করে শতাধিক শিক্ষার্থীর টাকা আত্মসাৎ করেছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
ওসি মো. আবদুল হাই বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকা প্রদান করছে সরকার। একটি নির্দিষ্ট গোপন পিন নাম্বারে সেই টাকাগুলো পৌঁছে দেয়া হয়। এখানে শিশু, শিশুর পিতা-মাতার আবেগ জড়িত রয়েছে। কিন্তু কোমলমতি শিশুদের টাকাগুলো আত্মসাতের ফন্দি করে একটি চক্র। তাদের দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে নগদ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আরো কিছু টাকা তাদের মোবাইলে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সরকারের উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার মাধ্যম ‘পিন নাম্বার’ যেন কাউকে না দেয়, সে বিষয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ করেন ওসি মো. আবদুল হাই। এ জন্য ব্যাপক গণসচেতনতার উপর তাগিদ দেন তিনি।
পাঠকের মতামত: