কক্সবাজার, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

রহিমা ফুডের স্থগিতাদেশের সময় বাড়িয়েছে সিএসই

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) তালিকাভুক্ত এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে তালিকাচ্যুত কোম্পানি রহিমা ফুড করপোরেশনের শেয়ার লেনদেনের ওপর স্থগিতাদেশের সময় বাড়িয়েছে সিএসই। এবার সময় বাড়িয়েছে ১৫ দিন।

কোম্পানিটির পক্ষ থেকে তাদের ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সময় চেয়ে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময়সীমা বাড়িয়েছে সিএসই। তবে যদি কোম্পানিটি এর ব্যবসায়িক পরিস্থিতি উন্নয়নে কোনো কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণে ব্যর্থ হয় তাহলে তালিকাচ্যুতির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক্সচেঞ্জটির কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক বলেন, লিস্টিং রেগুলেশন অনুসারে তালিকাচ্যুতির সিদ্ধান্তের আগে কয়েকটি পর্যায় আছে। তার একটি হলো লেনদেন স্থগিত করা। এর পর কোম্পানির অবস্থার উন্নতি না হলে চুড়ান্ত অবস্থা হলো তালিকাচ্যুত করা।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও পরিচালনা কার্যক্রম চালুর কোনো সম্ভাবনা না থাকায় রহিমা ফুড করপোরেশন ও মডার্ন ডায়িং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং লিমিটেডকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর পর্ষদ। অন্যদিকে দেশের আরেক শেয়ারবাজার সিএসই কোম্পানিটিকে তালিকাচ্যুতির বদলে এর লেনদেন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

লিস্টিং রেগুলেশন অনুসারে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ বছর ধরে লভ্যাংশ না দেয়া, টানা তিন বছর ধরে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, ঐচ্ছিকভাবে কোম্পানির অবসায়ন কিংবা টানা তিন বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকা, টানা তিন বছর ধরে লিস্টিং ফিসহ অন্যান্য ফি প্রদান না করা এবং লিস্টিং রেগুলেশন কিংবা অন্য যেকোনো সিকিউরিটিজ আইন পরিপালনে ব্যত্যয়ের কারণে কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জ যেকোনো কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করতে পারবে।

একসময় ভেজিটেবল অয়েল উৎপাদন করলেও পরবর্তী সময়ে এ ব্যবসা বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রামভিত্তিক কোম্পানি রহিমা ফুড করপোরেশন। ২০১৩ সালের পর থেকে টানা লোকসান করে যাওয়া কোম্পানিটির উদ্যোক্তা অংশের শেয়ার গত বছর স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী সিটি গ্রুপের কাছে বিক্রি হয়ে যায়। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভোজ্যতেলের পরিবর্তে নারকেল তেল উৎপাদনে কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেয় কোম্পানিটির পর্ষদ। অবশ্য এ বছরের এপ্রিলে কোম্পানিটির পর্ষদ নারকেল তেল উৎপাদনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে লেসিথিন উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও গত তিন বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকায় উন্নীত হয়।

পাঠকের মতামত: