বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর গ্রামের সোবহান মৃধার বাড়ির মাটির নীচ থেকে উদ্ধারকৃত ৫টি ককটেল নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দল। শনিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে মাটির নিচ থেকে দই রাখার পাত্রের মধ্যে লাল টেপ মোড়ানো অবস্থায় ওই ককটেল উদ্ধার করা হয়।
বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার জানান, খাঞ্জাপুর গ্রামের স্থানীয় লোকজন গত বৃহস্পতিবার গৌরনদী মডেল থানাকে অবহিত করেন সোবাহান মৃধার বসত ঘরের পূর্বপাশে বাথরুম সংলগ্ন মাটির নিচে ককটেল মজুদ রাখা হয়েছে। এ খবর পেয়ে ওই দিন বিকেলে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খোঁড়ার পর এর আলামত দেখতে পেয়ে স্থানটিকে লাল ফিতা দিয়ে নজরদারিতে রাখা হয়।
পরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ককটেল নিষ্ক্রিয় বিশেষজ্ঞ দলকে অবহিত করা হয়। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স টেকনিশিয়ান বোমা নিস্ক্রিয় বিশেষজ্ঞ দল ক্যাপ্টেন শাতিল আহম্মদদের নেতৃত্বে অভিযান চালান। এসময় বাথরুমের পূর্বপাশে লাল টেপ মোড়ানো ৫টি জদ্দার কৌটা পাওয়া যায়। যার মধ্যে সালফার ও ঝাকি জালে ব্যবহৃত লোহার কাঠি ছিল যা নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিকেল তিনটার দিকে দলের প্রধান ক্যাপ্টেন শাতিল আহম্মেদ উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ২০০৫ সালে একই স্থানে বোমা বিস্ফোরণ হয়ে একটি শিশু আহত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সোবহান মৃধা বোমা তৈরি করে তার হেফাজতে রাখে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, ককটেল উদ্ধারের বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: