করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের রেড ও ইয়েলো জোনে অবস্থিত সামরিক বা অ-সামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত বা বেসরকারি দপ্তরসমূহ সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। এছাড়া এসব এলাকায় বসবাসকারী এসব দপ্তরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে।
এদিকে গ্রিন জোনে সরকারি/আধা-সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি অফিসসূহ নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে বলে সোমবার (১৫ জুন) নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ নির্দেশনা আপাতত ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ এবং পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষে সরকার ১৫ তারিখের পর শর্তসাপেক্ষে দেশের সার্বিক কার্যাবলি এবং জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণীত ‘Bangladesh Risk Zone-Based COVID-19 Containment Implemeritation Strategy/Guide’ অনুসরণ করে সংক্রমণের ভিত্তিতে সংক্রামক রোগ প্রতিরাধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর কর্তৃত্ব অনুযায়ি এখতিয়ারবান কর্তৃপক্ষ লাল অঞ্চল (Red Zone), হলুদ অঞ্চল (Yellow Zone), সবুজ অঞ্চল (Cirect Zone) হিসেবে ভাগ করে জেলা/উপজেলা/এলাকা/বাড়ি/মহল্লাভিত্তিক জন চলাচল/জীবনযাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
‘তবে এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি জোনের জন্য কোভিড নমুনা পরীক্ষা, কোভিড-নন কোভিড স্বাস্থ্য সেবা প্রটোকল, কোয়ারেন্টিন/আইসোলেশন, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, জন চলাচল, যান চলাচল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, খাবার ও ওষুধ সরবরাহ, দরিদ্র লোকদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান, মসজিদ-মন্দির-অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধর্মচর্চা, জনসচেতনতা তৈরি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ব্যাংকিং সুবিধাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান/শিল্প প্রতিষ্ঠান/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পরিচালনার বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সিটি করপোরেশন এলাকায় অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার সার্বিক দায়িত্ব থাকবে সিটি করপোরেশনের। সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে জেলা প্রশাসন সার্বিক সমন্বয় করবে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা/উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ সমন্বিতভাবে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। এ কার্যক্রমে সংসদ সদস্যরাসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, স্বেচ্ছাসেবীসহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
সাধারণ ছুটির বিষয়ে বলা হয়, লাল ও হলুদ অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক বা অ-সামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দপ্তরসমূহ এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দপ্তরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে।
সাধারণ ছুটির বিষয়ে বলা হয়, লাল ও হলুদ অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক বা অ-সামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দপ্তরসমূহ এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দপ্তরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সবুজ অঞ্চলে সব সরকারি/আধাসরকারী/স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসসমূহ নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। উক্ত নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তান সম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারিকৃত ১৯ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। জরুরি ও অত্যাবশকীয় ক্ষেত্র ব্যতীত সকল সভা ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে আয়োজন করতে হবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অনুরোধ অনুসারে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ জোন সংক্রান্ত বিষয়াদি সমন্বয় করবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনাটি সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবদের পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: