কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনা মোকাবিলায় মাঠে নামছে স্বেচ্ছাসেবক টিম, সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুতুবদিয়ার: ইউএনও

কাইছার সিকদার::

কোভিড -১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাস শুধু তিন টি অক্ষরের একটি শব্দ নয় বরং তৃতীয় বিশ্বের মূর্তিমান্‌ আতঙ্কের অপর নাম৷ সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পরা শক্তিধর দেশ গুলো বাড়িয়েছে তাদের শক্তির পরিধি , যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার৷ পরিস্থিতি পাল্টে দিল ক্ষুদ্র একটি ভাইরাস, তাকে মোকাবিলায় শক্তিধর দের শক্তি ও যেন হার মেনেছে নত মস্তকে ৷

করোনা মোকাবিলার সব ছেয়ে বড় শক্তি হল গণ সচেতনতা ও সংযম, আপাততঃ সেটার কোন বিকল্প নেই বললেই চলে৷ সেই লক্ষেই কুতুবদিয়া উপজেলায় প্রশাসনের পাশাপাশি গন সচেতনতা তৈরি ও প্রশাসন কে তথ্য ভিত্তিক সহযোগিতা প্রদানের উদ্দেশ্যে কুতুবদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের এক ঝাঁক আত্মপ্রত্যয়ী তরুণ দের নিয়ে ৪০ (চল্লিশ) জনের স্বেচ্ছাসেবি দল গঠন করা হয়েছে৷

স্বেচ্ছাসেবক দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সার্বিক দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব – জিয়াউল হক মীর৷

আজ ১২ই এপ্রিল রবিবার উপজেলা অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছাসেবি টিম কে মাঠে নামানোর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে তাদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন নির্বাহী কর্মকর্তা – মীর৷

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর জানান-আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শুধু একটাই, চলমান করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে এক যোগে সকল স্থর থেকে কাজ করে যাওয়া৷ করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা মুখি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে প্রতিনিয়ত তাই নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এতই ব্যাপক ও জটিল যে শুধু নির্ধারিত প্রশাসনের লোক দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় শত ভাগ সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়, তাই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাশাপাশি সহযোগী টিম হিসেবে একটা স্বেচ্ছাসেবক দল মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছি৷

তিনি আরো বলেন এই টিম যদি দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বের সহিত কাজ করে আমাদের পরিস্থিতি সমাল দিতে সফলতার হার আরো বাড়বে৷ সাথে সাথে তিনি স্বেচ্ছাসেবি দলের উদ্দেশ্যে বলেন দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার তরুণ রা যাতে প্রত্যেকে নিরপেক্ষতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করে তাহলে জয় শুধু আজকের নয় বরং ভবিষ্যতে ও এ ধারা অব্যাহত থাকবে৷

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র আছিফ আদনান বলেন- জাতীর এই ক্রান্তি লগ্নে মানব সেবায় নিয়োজিত করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি৷ কুতুবদিয়ায় এই মহতী উদ্যোগ গ্রহণে উপজেলা প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানান তিনি৷

উপজেলা প্রশাসনের এই ভিন্ন ধর্মী উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসিত হয়েছে৷

পাঠকের মতামত: