ক্রাইম প্রতিনিধি::
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউপি এলাকার হাসপাতাল সড়কের মো: রফিক (ওরফে) বার্মায়া রফিক,অবৈধ হোন্ডি পাচারে অল্পদিনেই কোটি টাকার মালিক।
মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে অবস্থান করে আত্নীয় স্বজন দেশের বাইরে থাকায় ক্যাম্প কেন্দ্রীক অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায় পা রাখেন।
(মায়ানমার,বাংলাদেশ,মালয়েশিয়া) এসব দেশে টাকা আদান-প্রদানের পথদিয়ে শুরু হয় রোহিঙ্গা রফিকের হুন্ডি কালোবাজারির স্যান্ডিকেটের উত্তান।
মালয়েশিয়া কোয়ালালাম পুরের আন্তজার্তিক হোন্ডি পাচার চক্রের অন্যতম সদস্য তার বাবা বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে বাংলাদেশে হোন্ডি পাচারের পরিচালনা করে আসছে ছেলে রফিক
জানা যায়, মুখোশধারী গডফাদার হিসেবে সবসময়ই ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে অর্ধশত ব্যক্তিদের দিয়ে নিরবে অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারকরে অল্পদিনেই কোটিপতি হয়ে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে রোহিঙ্গারা একাধিকবার আটক হলেও বাংলাদেশি বনে যাওয়া রফিক ধয়াছোঁয়ার বাহিরে থাকেন।
লক্ষ টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে, আরাকান সড়কে অনেক টাকা ব্যায়করে বিলাসবহুল নতুন বাড়ি নির্মাণ করে বাঙালি তরুণী আখলিমা আকতারের সাথে বিবাহে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। কৌশলে টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে জন্মনিবন্ধন করে কোন মতে রাজাপালং মাদরাসা ভর্তি হয়ে এসএসসি পরিক্ষায় ফেল করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়ে অল্প দিনে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মালয়েশিয়ায় কারাবরণ করে বাংলাদেশে চলে আসে।
এদিকে অবৈধভাবে খোলাবাজারে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের হাড় দিনদিন বেড়ে যাওয়ায়, সরকারের ব্যাংখাতে (বৈদেশিক মুদ্রার রেমিটেন্স আয়) চলে যাচ্ছে কালোবাজারীদের পেটে ।
অন্যদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক হুন্ডি স্যান্ডিকেটের মুখোশধারী এই গডফাদারের অবৈধ সম্পদ অর্জণের বিষয়ে সদয় অবগতিক্রমে, বাংলাদেশ কাস্টমস, আয়কর বিভাগ ও দুদকের মামলায় তাকে আওতাভুক্ত করার জন্য সুশিল সমাজের দাবি করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া থানার (ওসি তদন্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আমরা এখনো এই বিষয়ে তেমন কিছু জানি না, তবে সে যেই হউক সরকার বিরুধী বা কোন অবৈধ কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না।
পাঠকের মতামত: