কক্সবাজারের টেকনাফ এনামুল হক ও আব্দুল্লাহ নামের দুই ইয়াবা ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইয়াবা ব্যবসা করে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আজ মঙ্গলবার (১০ মার্চ ) দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর বাদি হয়ে এ মামলা দুইটি দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর জানান, অনুসন্ধানকালে তাদের যে সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে তদন্তের স্বার্থে ওইসব সম্পদগুলো শীঘ্রই জব্দ করা হবে।
এনামুল হক টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকার মোজাহার মিয়ার ছেলে। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। অপর অভিযুক্ত মো.আব্দুল্লাহ একই উপজেলার লেঙ্গুরবিল হাতিয়ার ঘোনা এলাকার আবুল বশরের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নুরুল বশর ও নুরুল হুদার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর। অনুসন্ধানকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকার মোজাহার মিয়ার ছেলে ও ইউপি সদস্য এনামুল হকের বিরুদ্ধে ৩৬ লাখ ৭হাজার ৩২৯ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের কোনো আয়ের উৎস ছিলনা।
অপরদিকে, টেকনাফ উপজেলার লেঙ্গুরবিল হাতিয়ার ঘোনা এলাকার আবুল বশরের ছেলে মো. আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ১ কোটি ২ হাজার ৩৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। একই সাথে তারা দুজনই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেনি। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।
দুদক-এর সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর জানান, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে আয়বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পাওয়ায় টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর নুরুল বশর ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল হুদার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একই সাথে আমাকে এই মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২ মার্চ টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর নুরুল বশর ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল হুদার বিরুদ্ধে একই অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
পাঠকের মতামত: