উখিয়ার নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী থেকে তেলখোলা মোছারখোলা ৪ কিলোমিটার সড়ক নিমার্ণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বালির পরিবর্তে পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে সড়কের মেগাডমের কাজ শেষ করতে গিয়ে কাজের গুনগতমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ সিডিউল বর্হিভুত কাজের কারণে উক্ত সড়ক দীর্ঘস্থায়ী বা টেকসই হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন থাইংখালী মোছারখোলা তেলখোলা নিমার্ণাধীন সড়ক ঘুরে স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সড়কে বালি দিয়ে মেগাডম পরিপূর্ণ করার কথা থাকলেও তা না করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে বালির কাজ করে যাচ্ছে। এব্যাপারে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করেও কোন কাজ হয়নি।
তেলখোলা গ্রামের মংবউ চাকমা জানান, তেলখোলা মোছারখোলায় প্রায় ১০ হাজার
উপজাতি যুগযুগ ধরে যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে কস্টে আছে। এমনকি তাদের উৎপাদিত পণ্য
ঠিকমতো বাজারজাত করতে না পারায় অনেক পরিবারকে উপবাসে দিন রাত কাটাতে হয়েছে।
পাশাপাশি যোগাযোগের অভাবে এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ সার্বিক ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৪ কিলোমিটার সড়ক নিমার্ণের কাজ করায় এলাকাবাসী খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেছিল।
এসময় বেশ কয়েকজন উত্তেজিত গ্রামবাসী দুঃখ করে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না করলে এসড়কটি উন্নয়ন করে কোন লাভ হবে না। যেহেতু বর্ষার সময় পাহাড়ী ঢলের পানিতে নির্মিত সড়ক পূর্বের অবস্থায় চলে যেতে পারে। তাই তারা সড়কটি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই নিমার্ণের দাবী জানান।
এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তিনি অবিলম্বে উক্ত সড়কগুলো পরিদর্শন করবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে
বলেন, সেখানে ৬টি প্রকল্প নিয়ে একটি প্যাকেজের কাজ চলছে। তিনি প্রতিনিয়ত উক্ত কাজ গুলো পরিদর্শন করছেন। বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা তিনি খতিয়ে দেখার আশ্বাস্ত করেন।
পাঠকের মতামত: