সেলিম, মহেশখালী::
কক্সবাজারের চকরিয়া বদরখালী সড়কের ফেরিঘাটস্থ চৌরাস্তায় সরকারি রাস্তার জায়গা দখলকরে অবৈধ ভাবে নির্মিত প্রায় দুই শতাধিক দোকান-পাট উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কক্সবাজার। ১৩ জানুয়ারি দুপুর ১ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়ে ব্যবসায়ীর সাথে সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কয়েকজন আহত হয়ছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, দোকানে মালামাল সরানোর জন্য ব্যবসায়ীকে সময় দেওয়া হয়েছিল এবং মাইকিং করা হয়েছিল। আজ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে। কিছু ব্যক্তি অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে বাঁধা দিয়ে হামলা করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ও জানান। সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার কে বি জালাল উদ্দিন সড়কটি চালু হওয়ার পর থেকে বদরখালী ফেরিঘাটস্থা চৌরাস্তার উভয় পাশে অবৈধ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। একশ্রেণির মানুষ সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে পাকা-আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ কারণে সড়কে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাই নির্বিঘ্নে যান চলাচল ও দুর্ঘটনারোধে করতে সড়ক ও জনপদ(সওজ) থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে মাইকিং করে দোকানের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
তার ধারাবাহিকতায় কে বি জালাল উদ্দিন সড়কের বদরখালী-মহেশখালী ফেরীঘাটস্থ এলাকায় এ সফল উচ্ছেদ অভিযান করা হয়। চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ জোবাইর বলেন, অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আসে এবং অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করে।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আমাদের নিয়মিত অভিযান। আর এ অভিযানে যে বা যারা বাঁধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: