কক্সবাজার শহর থেকে নিখোঁজ টেকনাফের যুবক মো. আব্দুল্লাহ ৮ বছরেও ফিরেনি। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের জাহাঁলিয়াপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শামশুমিয়ার ছেলে মো. আব্দুল্লাহ ঘরে ফিরে আসবে এমন আশায় গুমড়ে কাঁদছে তার মা বাবা। ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও থামছে না মা বাবার কান্না।
২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৯টার দিকে মো. আব্দুল্লাহসহ তার এক বন্ধু মো. জয়নাল কক্সবাজার লিংক রোড এলাকায় মুরগীর খাবারের পাত্র কিনতে দোকানের সামনে পৌঁছার কিছুক্ষণ পর সাদা পোষাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে দু’জনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
অপহরণের পর পরিবারের পক্ষ থেকে বহু চেষ্টা তদবির করা হলেও ঘরে ফিরে আসেননি মো. আব্দুল্লাহ।
অপহরণ রহস্যের কূল কিনারাও পাওয়া যায়নি। এমনকি প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধর্ণা দিয়েও কোন ফল পাওয়া যায়নি। ফলে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছে পরিবার। পরিবারে বিরাজ করছে গভীর হতাশা ও শূন্যতা। এখনও ফিরে পাওয়ার প্রহর গুনছে মা-বাবা, ভাই বোনসহ আত্মীয় স্বজনরা।
জানা যায়, ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক মো. আব্দুল্লাহর মা রহিমা খাতুন। ঘটনার পর থেকে তিনি ধীরে ধীরে নির্জীব হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগল প্রায়, কান্না আর থামছে বছর ধরে কিন্তু ছেলে আর ফিরে আসে না।
পরিবারসহ এলাকাবাসীর প্রশ্ন এমন কি অপরাধ ছিল মো. আব্দুল্লাহ’র। যে কারণে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হলেন তিনি।
মো. আব্দুল্লাহ’র মা রহিমা খাতুন জানান, ‘আমার ছেলে কোন ধরনের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। কি কারণে, কেন তুলে নেয়া হলো আমি জানি না।’ তিনি এখনো আশাবাদী সন্তান তার বুকের ধন ফিরে আসবে।
তবে এ ঘটনার তিনি কোন মামলা করেনি। তাই নিরুপায় হয়ে অনেকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তারপরেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
একইভাবে মো. আব্দুল্লাহ’র সাথে থাকা সেন্টমার্টিনের জয়নাল এবং টেকনাফ থেকে যাওয়া তার বন্ধু টেকনাফ সদর ইউনিয়নের জাহালিয়া পাড়ার আবদুল মোতালেবের ছেলে জাহেদ হোসেন জাকু কক্সবাজার কলাতলী অবস্থান করা রুম থেকে তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে তিনজনের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে নিখোঁজ মো. আব্দুল্লাহর পরিবারসহ জয়নাল ও জাহেদ হোসেন পরিবার প্রশাসনের কাছে নিখোঁজদের ফিরে পেতে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: