ইমাম খাইর::
মহেশখালীর মাতারবাড়ীর উত্তর রাজঘাট (ওয়াপদাপাড়া) এলাকা থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার হয়েছে। হতভাগার নাম একরামুল হক। সে উত্তর নলবিলার আব্দু সাত্তারের ছেলে।
কোহেলিয়া নদীতে ভাসমান লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও নিহতের মামা লিয়াকত আলী খান পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
কবির ডাকাতকে ধরিয়ে দিয়েছিল একরাম। সেই রেশ ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান নিহতের মামা লিয়াকত আলী।
খবর পেয়ে বুধবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত তিনটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যার পর একরামের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার অভিযোগ স্বজনদের।
রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
মহেশখালী থানার ওসি মো. আবদুল হাই জানান, খবর পেয়ে একরামুল হক নামের একজন লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মাথা, পাসহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন হয়েছে। বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
ওসি জানান, একরামুল হক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে একজন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, কারামুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে একরাম। তাকে কে বা কারা; কেন হত্যা করলো, এলাকাবাসীর কাছে অজানা। যেসব জলদস্যু ও অস্ত্রকারবারী আত্মসমর্পন করেনি, তারাই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
জড়িতদের দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি স্বজনদের।
খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মুহাম্মদ উল্লাহ। তিনি বলেন, কেন, কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছেনা। ক্লু অবশ্য উদঘাটন হবে।
ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছমি উদ্দিন।
শেখ মুজিব নামের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা এক ব্যক্তি জানান, কারামুক্ত হয়ে আমরা সুন্দর জীবন যাপন করছি। চিহ্নিত ডাকাত-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করি। বিশেষ করে কবির, শাকের উল্লাহ, কানা ফারুক, আরিফদের ধরিয়ে দিয়েছি। তারাই একরাম হত্যার সাথে জড়িত।
পাঠকের মতামত: