কক্সবাজার, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সৌদি থেকে দেশে ফিরলেন সেই সুমি

সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি গৃহকর্মী সুমি আক্তার দেশে ফিরেছেন।

শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টায় তাকে বহনকারী জি-৯, ৫১৭ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রসাশনিক কর্মকর্তা জহির উদ্দিন ও বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ তাকে রিসিভ করেন। এ সময় সুমির স্বজনরাও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

সুমি আক্তার পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সেনবাড়ি ইউনিয়নের বৈরাত গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। তার পাপাসপোর্ট নাম্বার-০১৭৫৩১২।

বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, সুমির সঙ্গে আরও ৮৬ নারী সৌদি থেকে ফিরে এসেছেন।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সৌদিতে নির্যাতনের শিকার সুমি আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। সেখানে সুমি বলেন, ‘ওরা আমারে মাইরা ফালাইবো, আমারে দেশে ফিরাইয়া নিয়া যান। আমি আমার সন্তান ও পরিবারের কাছে ফিরতে চাই। আমাকে আমার পরিবারের কাছে নিয়ে যান। এখানে আমার ওপর অনেক নির্যাতন করা হচ্ছে। আর কিছুদিন থাকলে হয়তো মরেই যাবো। তাই প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ আপনারা আমাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যান।’

সুমির আকুতির ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তার স্বামী নুরুল ইসলাম রাজধানীর পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডিতে তিনি জানান, চলিত বছরের জানুয়ারিতে গৃহকর্মীর ট্রেনিং শেষ করেন সুমি। পরবর্তীতে বিনামূল্যে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে দালালদের দেখানো লোভ আর বিদেশে গিয়ে ভালো টাকা আয়ের আশ্বাসে গত ৩০ মে ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’ নামে একটি এজেন্সির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে পাড়ি জমান। কিন্তু দালালরা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে যে তাকে বিক্রি করে দিয়েছে সুমি তা বুঝতে পারেননি। সৌদি যাওয়ার সপ্তাহ খানেক পর থেকে তার ওপর শুরু হয় মারধর, যৌন হয়রানিসহ নানা নির্যাতন।

পাঠকের মতামত: