কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

সেন্টমার্টিনের ‘দুঃখ’ ভাঙাচোরা জেটি

সেন্টমার্টিনের জরাজীর্ণ জেটি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছেন পর্যটকরা। ভাঙাচোরা জেটি নিয়ে চরম দুঃখ-দুর্দশায় দিন অতিবাহিত করছেন দ্বীপবাসী। প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচল ও মালামাল পারাপারের একমাত্র মাধ্যম এই জেটি। এছাড়া দৈনিক হাজার হাজার পর্যটক জেটি দিয়ে জাহাজে ওঠানামা করেন। বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ জেটিতে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই জেটি দ্রুত সংস্কারের দাবি পর্যটক ও স্থানীয়দের।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ছেড়ে যায় তিনটি জাহাজ। দুপুরে জাহাজগুলো সেন্টমার্টিন জেটিতে ভিড়লে নামার সময় চরম বিপাকে পড়েন পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটক কবির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এত সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র, কিন্তু প্রবেশমুখের মূল আকর্ষণ জেটিটিই বিধ্বস্ত ও জরাজীর্ণ। এই জেটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা না গেলে সবাইকে আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হবে।

 

আরেক পর্যটক গিয়াস উদ্দিন বলেন, জাহাজ থেকে নামতে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতাম। জেটির পুরো অংশই পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। এখানে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা চরম বিপাকে পড়েন। আগত পর্যটক ও স্থানীয়দের স্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে জেটি সংস্কার করতে হবে। সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্যের সঙ্গে জেটিটি কোনোভাবেই যায় না।

জানা গেছে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বৈরী আবহাওয়ায় জেটি একেবারে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়লে ২০২৩ সালে কাঠের তক্তা বসিয়ে প্রাথমিকভাবে মেরামত করে চলাচল উপযোগী হয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই ফের বেহাল দশায় হয়ে যায় জেটিটির।

 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, এই ভাঙাচোরা জেটি নিয়ে খুব কষ্টে আছি আমরা। জরাজীর্ণ জেটির কারণে পর্যটকরা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। জেলা পরিষদকে বারবার তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি আমরা। শুনেছি জেটির জন্যে একটি বাজেট হচ্ছে। তবে সেটি কবে নাগাদ বাস্তবায়িত হবে, তা ঠিক নেই।

কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ বলেন, জেটির জন্যে বাজেট পাশ হয়েছে। অলরেডি অনলাইনের মাধ্যমে টিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জেটি মেরামতে কাজ ধরা হবে বলে জানান তিনি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান উদ্দিন বলেন, আমি মাত্র যোগদান করেছি। নতুন মানুষ, এখনো অফিসে বসতে পারিনি। আগামীকাল থেকে অফিসে বসব। তবে জেটিটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে সেটি জানি। বিষয়টি আমি দেখব।

পাঠকের মতামত: