কক্সবাজার, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সাগর পথে মায়ানমারে সিমেন্ট পাচার; বোট ডুবে সাগরে ভসছিল রোহিঙ্গাসহ ৬ জন

বঙ্গোপসাগরে রাতের অন্ধকারে চোরাই সিমেন্ট বোঝাই বোট ডুবে সাগরে ভাসমান অবস্থায় রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ৬জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ১। আব্দুল মোতালেব(৪২), পিতা- মমতাজ মিয়া, আশ্রয়ন প্রকল্প, প্রবাল ভবন, খুরুশকুল, ২। কামাল(৫৪), পিতা- মৃত ইসহাক, সাং- আশ্রয়ন প্রকল্প, কেওড়া ভবন, খুরুশকুল, ৩। রুহুল আমিন(৫৫), পিতা- লেহাজ উদ্দীন, সাং- আশ্রয়ন প্রকল্প, মনখালী ভবন, সর্বথানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা ব্যক্তিরা হলেন, ১। জোহার (৩৭), পিতা- জাফর আহাম্মদ (FCN-100716), বালুখালী ক্যাম্প-১০, #13, ২। ওসমান গনি(৪১), পিতা- তোফায়েল আহাম্মদ, সাং- Y177903, কুতুপালং মোচারা ক্যাম্প- ০৫, ব্লক বি-১, ৩। নুরুল আমিন(৪০), (FCN-209402),  পিতা- মৃত আব্দুর রাজ্জাক, সাং- ক্যাম্প-১৯, ব্লক সি-৫।

তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার সদর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মুবিনের মালিকানাধীন ট্রলারে করে আলী আকবর ঘাট এলাকা থেকে মানিকের নির্দেশে ৩৫০ বস্তা সিমেন্ট বোঝাই করে মায়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মানিকের বাড়ি আগে তবালেরচর এলাকায় থাকলে বর্তমানে কক্সবাজার বসবাস করে চোরাকারবারি ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন বলে তারা জানান।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া মানিকের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি  মানিক নন বলে জানান। তার নাম জাহিদুল ইসলাম দাবি করে বলেন, ডুবে যাওয়া বোটটি তার দুই বন্ধুর। একজনের নাম মুবিন। আরেকজনের নাম ফারুক। মূলত ফারুক বোটের মূল মালিক।

এদিকে উদ্ধারকারী বোটের মাঝি দিদার জানান, ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) ভোর ৬টার দিকে সাগরে মাছ ধরে ফেরার পথে মাতার বাড়ি  কয়লা বিদুৎ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় রোহিঙ্গাসহ ৬জনকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সিএমবি ঘাটে নিয়ে আসেন। পরে বোটে মালিক কাইমুল ইসলাম কুতুবদিয়া থানাকে খবর দিলে কুতুবদিয়া থানার মোবাইল ডিউটি অফিসার এসআই (নিঃ) সাজ্জাদ চৌধুরী বড়ঘোপ ঘাটের উত্তর দিকে খাদ্য গুদামের পাশ হইতে উদ্ধার হওয়া ৬জনকে থানায় নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানার (ওসি) আরমান হোসেন জানান, বুধবার দুপুর অনুমান ১টার দিকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের থানায় নেওয়া হয়।  পরবর্তীতে তাহাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা উপরোক্ত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, তারা কক্সবাজার সদরের ০৬নং ঘাট হইতে গত ১০ ডিসেম্বর বোট নিয়ে মহেশখালী যায়। সেখান থেকে সিমেন্ট বোঝাই করে অজ্ঞাত স্থানে যাওয়ার পথে ১০ ডিসেম্বর রাত অনুমান ১০টার দিকে বোটটি সাগরে ডুবে যায়। তারা সাগরের পানিতে ভাসতে থাকলে কুতুবদিয়ার কাইমুল এর মালিকানাধীন বোটের নাইয়া ও মাঝিদের সহায়তায় তাহাদের উদ্ধার করিয়া কুতুবদিয়া থানাধীন বড়ঘোপ ঘাটের উত্তর দিকে খাদ্য গুদামের পাশে নিয়ে আসেন।

এদিকে বিষয়টি ক্যাম্পের সলিসিটরকে  জানানো হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের হস্তান্তর করা হবে।

পাঠকের মতামত: