কক্সবাজার, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সাংবাদিককে মারধর ও জিম্মির ঘটনায় ইটভাটার ম্যানেজার গ্রেফতার

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিককে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কাঞ্চন তুড়ি (৩০) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঠান্ডাছড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাঞ্চন তুড়ি (৩০) এবিসি নামক ইটভাটার ম্যানেজার। ঘটনার দিন মামলার ৩ নম্বর আসামি কাঞ্চন তুড়ি ও ৪ নম্বর আসামি কামরান অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদকে ঘিরে ফেলেন। পরে ইউপি সদস্য মোহনকে সহযোগিতা করে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর স্টাফ করেসপন্ডেট সাংবাদিক আবু আজাদ বাদি হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা, মারধর, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়া, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী (৫৫), ইউপি সদস্য মহিন উদ্দিন তালুকদার মোহন (৪০), মোহনের সঙ্গী কামরান (৩০।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ সংগ্রহ করতে রোববার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের মঘাছড়িতে সড়কের পাশে মাটি তুলে নামহীন ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় মেম্বার মহিউদ্দীন তালুকদার (মোহন) ৫-৬ জনকে সঙ্গে নিয়ে আমার (সাংবাদিক আবু আজাদ) মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করেন।

আরও বলা হয়, এরপর আমাকে একটি সাদা রংয়ের নোহা গাড়িতে তুলে নিয়ে মঘাছড়ি বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রকাশ্যে আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আবারও মারধর করা হয়। আমার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড তারা কেড়ে নেন। মারধরের এক পর্যায়ে মোহনের মোবাইল ফোন দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আমার পরিচয় জানার পর তিনি আমাকে বলেন, এরকম সাংবাদিক মেরে ফেললে কিছু হবে না। এরপর আমার মোবাইল দিয়ে গুগল ড্রাইভে ঢুকে সব ছবি-ভিডিও ডিলেট করে দেওয়া হয় এবং মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলা হয়। পরে পকেটে মারধরকারী স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজের ভিজিটিং কার্ড ঢুকিয়ে দিয়ে ক্ষমতা থাকলে কিছু করে দেখাতে বলেন।

পাঠকের মতামত: