মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে দেশটির সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬ থেকে ১১ জন রোহিঙ্গা।
ওই অঞ্চলের পার্লামেন্ট সদস্য তুন থার সেইন, স্থানীয় দুই বাসিন্দা এবং বিদ্রোহী গ্রুপের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য স্টার অনলাইন।
পার্লামেন্ট সদস্য তুন থার সেইন জানান, ঐতিহাসিক মন্দিরের শহর ম্রাউক উ অতিক্রম করার সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি দলের ওপর হামলা চালায় বৌদ্ধ বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি। এই হামলার প্রতিবাদে দুটি প্রত্যন্ত গ্রামে শেল নিক্ষেপ এবং গুলি চালায় সেনাবাহিনী।
বিদ্রোহীদের মুখপাত্র খেইন থু খা জানান, বু তা লো গ্রামে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নিক্ষিপ্ত আর্টিলারি সেলের আঘাতে চারজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এজন্য মিয়ানমার সরকার এবং দেশটির সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’। তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই মুখপাত্র।
গত ২০১৭ সালের আগস্টে সামরিক অভিযানে বহু রোহিঙ্গা নিহত হন। পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। এ ঘটনায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ।
কয়েক হাজার রোহিঙ্গা এখনো মিয়ানমারে রয়েছেন। তাদের অনেককেই বন্দিশিবির এবং নিজ গ্রামে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) নির্দেশনা সত্ত্বেও নতুন করে এ হতাহতের ঘটনা ঘটল।
পাঠকের মতামত: