চলতি মৌসুমে রামুর সবখানে ধান কর্তনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কদর তুঙ্গে। দ্বিগুণ দামে বিপাকে পড়েন গ্রামাঞ্চলের ধান চাষীরা। সেই সাথে ভিনদেশীয় তথা রোহিঙ্গা শ্রমিকদের ছড়াছড়ি, স্থানীয়রা কোণঠাসা। ২ ডিসেম্বর বিকালে ঈদগড় বাজারে শ্রমিকদের বিকিকিনির এমন দৃশ্য চোখে পড়ে এ প্রতিবেদকের।
তথ্য মতে, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও চলতি মৌসুমে বৃহত্তর রামুর গ্রামীণ জনপদের বিলে সবুজ ধান কর্তনে চাষীরা শ্রমিকদের কাছে ধর্না দিচ্ছে। এমনকি বৃহৎ এলাকা ছাড়াও পাশ্বর্বতী বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বাজারে আগত ধান কর্তনের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সরগরমে পরিনত হয়ে উঠেছে। তবে ধান চাষীরা শ্রমিক দেখলেও দামে মেলাতে পারছেনা। এ বছর স্থানীয় শ্রমিকরা কোণঠাসা, ভিনদেশী শ্রমিকের কারণে।
এদিকে ঈদগড় বাজারের হাটে আসা বেশি সংখ্যক শ্রমিক হচ্ছে কুতুপালং এলাকার। এ বছর শ্রমিকরা ৭শ থেকে ৮শত টাকা দরে যাচ্ছে ধান কাটতে। মোহাম্মদ আনোয়ার নামের এক শ্রমিকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, তার নিজ বাড়ী বার্মার (মায়ানমার) মংডুতে। সে উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে ধানকাটার কাজ করতে ঈদগড়ে এসেছেন বলেও জানায়।
কজন স্থানীয় শ্রমিক জানান, অতিরিক্ত দামে ধান কর্তনের কাজ চলছে বৃহত্তর এলাকার পাড়া গাঁয়ে। কম হলে কাজ করতে ইচ্ছুক নন তারা। ভিনদেশীদের কারনে আমরা স্থানীয়রা অনেকটা কোণঠাসা।
চাষী মহি উদ্দিন জানান, তিনি অনেক কষ্টের বিনিময়ে ধান চাষ করে প্রতি বছর। কিন্তু কর্তনের বেলায় শ্রমিকদের মনগড়া দাম আসলেই দু:খজনক। শ্রমিকরা এক কথায় আর নড়াচড়া হয়না বলেও জানান। দ্বিগুণ দাম নিয়ে ধান চাষীদের মাঝে চাপাক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবার অনেক চাষীরা পরিবার পরিজন নিয়ে ধান কর্তনের কাজ সেরে নিতেও দেখা যায়। জমি থেকে কিছু কিছু সোনালী ধান ঘরে তুলছে চাষীরা।
পাঠকের মতামত: