কক্সবাজার, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

রাসেল-কামিন্স তাণ্ডবে লড়াই করে হারলো কলকাতা

চেন্নাই সুপার কিংসের দেওয়া ২২১ রানের টার্গেটে নেমে পাওয়ার প্লে শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোর ৫ উইকেটে ৪৫ রান। সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন আন্দ্রে রাসেল ও প্যাট কামিন্স। তাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। কিন্তু বীরত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেও নায়ক হতে পারেননি রাসেল-কামিন্স। পাঁচ বল বাকি থাকতে ২০২ রানে অলআউট হয়েছে তারা। তাতে ১৮ রানে তৃতীয় জয়ে চার ম্যাচ শেষে শীর্ষে চেন্নাই।

৩১ রানের মধ্যে নেই প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান, যার মধ্যে চার উইকেটই দীপক চাহার নেন প্রথম তিন ওভারে। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় আত্মসমর্পণের কথা ভাবাই তো স্বাভাবিক। দীপকের কাছে আউট হয়ে মাঠের বাইরে বসে এমন চিন্তা হয়তো করছিলেন শুভমান গিল (০), নিতিশ রানা (৯), এউইন মরগ্যান (৭) ও সুনীল নারিনরা (৪)। ষষ্ঠ ওভারে রাহুল ত্রিপাঠী (৮) উইকেট হারালেন লুঙ্গি এনগিডির কাছে।

কিন্তু দিনেশ কার্তিক ও রাসেল ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচ। ‍দুজনের ৩৯ বলের ৮১ রানের জুটিতে ফিঁকে হতে বসা জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দিতে থাকে।

২১ বলে তিন চার ও পাঁচ ছয়ে ফিফটি ছোঁয়ার পর পরের বলে স্যাম কারানের কাছে বোল্ড হন রাসেল, করেন ৫৪ রান। লুঙ্গি এনগিডি তোপ দাগান। ২৪ বলে কার্তিক ৪০ রানে ৩৪ রানের জুটি গড়ে বিদায় নিলেও জয়ের আশা শেষ হতে দেননি কামিন্স। কমলেশ নাগরকোটির সঙ্গে তার ৩০ রানের জুটি এসেছে ৮ বলে, যাতে ২ বল খেলে কোনও অবদানই নেই নাগরকোটির। শেষ চার ওভারে ৪৫ রান দাঁড়ায় কলকাতার লক্ষ্য, হাতে ছিল দুই উইকেট।

বরুণ চক্রবর্ত্তী প্রথম বলেই আউট হওয়ার আগে কামিন্স তার সঙ্গে ১৬ বলে ২৪ রানের জুটি গড়েন। তাতে দল পৌঁছায় ২০০ রানে। ২৩ বলে তিন চার ও পাঁচ ছয়ে ফিফটি করেন কামিন্স। শেষ ওভারে লাগতো ২০ রান। উইকেট হাতে ছিল একটি। কামিন্স প্রথম বলে দুটি রান নিতে গিয়ে নন স্ট্রাইক এন্ডে রান আউট হন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ১৯.১ ওভারে ২০২ রানে অলআউট কলকাতা। ৩৪ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন কামিন্স।

দীপক ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। এনগিডি দলে ফিরে চার ওভার করে ২৮ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট।

এর আগে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ফাফ দু প্লেসির ৯৫ রানের কল্যাণে ৩ উইকেটে ২২০ রান করে চেন্নাই। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৬৪ রানও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

চার ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চেন্নাই। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্টে দুইয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। টানা তিন হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে জিতে আইপিএল শুরু করা কলকাতা।

পাঠকের মতামত: