কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রামুতে যুবককে হত্যা করে গরু ডাকাতি

কক্সবাজারের রামুতে থানার পাশ্ববর্তী গ্রামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে ২টি গরু লুট করেছে ডাকাতদল।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের অফিসেরচর চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মীর কাশেম (৩২) ওই এলাকার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে।

লুট হওয়ার গরুগুলোর মালিক মোহাম্মদ আলী জানান- রাত ৩টার দিকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল তার গোয়াল ঘরে হানা দিয়ে ৭টি গরু নিয়ে যায়।

এসময় হৈ হুল্লোড় শোর চিৎকার হেল বাড়িতে থাকা জামাতা ফারুক সহ পরিবারের সদস্যরা ছুটোছুটি শুরু করে। প্রধান সড়কে গিয়ে দেখতে পান ডাকাতদল ৭টি গরু গাড়ি তুলতে শুরু করে। এসময় তারা লুট করা গরুগুলো ডাকাতদলের কবল থেকে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় ডাকাতদল ফারুককে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তা লক্ষভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান ফারুক।

পরে ডাকাত দল মীর কাশেমকে রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে পার্শ্ববর্তী সবজি খেতে ফেলে দেয়। ডাকাতদল গরু নিয়ে পালিয়ে যায়।
মোহাম্মদ আলী আরো জানান- নিহত মীর কাশেম তার ভাতিজা। সকালে স্থানীয়রা মীর কাসেমের মৃতদেহ পাশ্ববর্তী সবজি ক্ষেতে দেখতে পান।

তিনি জানান, মীর কাশেমের মৃতদেহে দু’হাত পেছনে, মুখ, চোখ, এবং পা জোড়া বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। সকালে রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আলম জানান, রাতে গরু ডাকাতির সময় মীর কাশেম দেখে ফেলে। মীর কাশেম মানসিক ভারসাম্যহীন।

সে অপরিচিত লোকজন দেখলে চিল্লাচিল্লি করে। তাছাড়া গভীর রাতে হওয়ায় সে হয়তো চিৎকার দিতে চেয়েছিলো। এজন্য ডাকাতরা তাকে মারধর এবং হাত-পা-মুখ বেঁধে হত্যা করেছে।

উল্লেখ্য, রামুতে সাম্প্রতিক সময়ে গরু ডাকাতির ঘটনা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫দিন পূর্বে রাজারকুল ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার নুরুল হকের বাড়িতেও ডাকাতদল হানা দিয়ে ৪টি গরু লুট করেছে। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে।

পাঠকের মতামত: