আবাহনী বনাম মোহামেডানের মধ্যকার উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে শেষ হাসি হাসল মোহামেডানই। পাঁচ বছর পর আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তবে ম্যাচের জয়-পরাজয় ছাপিয়ে মূল আলোচনার কেন্দ্রে এখন সাকিব আল হাসান।
ম্যাচ চলাকালীন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে কী শাস্তি হবে সেটা এখনই নিশ্চিত নয়। ম্যাচ অফিশিয়ালদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সাকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোহামেডান ও আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের আয়োজক সংগঠন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম।
প্রতি ম্যাচের পর রেফারির কাছে খেলার রিপোর্ট দিয়ে জমা দিয়ে থাকেন আম্পায়াররা। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাচ রেফারি। সাকিবের ক্ষেত্রেও তাই হতে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিসিবি কার্যালয়ের সামনে সংবাদমাধ্যমকে কাজী ইনাম বলেছেন, ‘খেলার মাঠে অনেক কিছুই হয়। আজকে আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচ ছিল। সেখানে আমরা অনেক উত্তেজনা দেখলাম। সাকিব আল হাসানকে ঘিরে কিছু ঘটনা আমরা দেখেছি। এটা ফেসবুক লাইভ, ইউটিউব থেকেও সবাই দেখতে পেয়েছে। বিষয়টা দুঃখজনক। ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যেখানে এমন উত্তেজনাপূর্ণ সময় এসে যেতে পারে। তবে আমরা আশা করব খেলোয়াড়রা তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এই খেলাটি আইসিসি স্বীকৃত ম্যাচ। এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ম্যাচ রেফারি, আম্পায়াররা আছেন। তারা একটা রিপোর্ট দেবেন। সবকিছুরই নিয়ম আছে। কোন নিয়ম ভাঙলে কী শাস্তি, সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শাস্তির মাত্রা কেমন হবে জানতে চাইলে কাজী ইনাম বলেন, ‘শাস্তি কেমন হবে সেটা রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে। তারা যা বলবে, সেভাবেই সিদ্ধান্ত হবে।’
আজ শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির আজকের ম্যাচে অবিশ্বাস্য আচরণ করে ফেলেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে মেজাজ হারিয়েছেন তিনি। স্টাম্পে লাথি মারা, স্টাম্প আছাড় দেওয়া এমনকি আম্পায়ারদের সঙ্গেও তর্কে জড়িয়ে যান তিনি। তবে ম্যাচটি শেষ হওয়ার পরপরই ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভুলের জন্য টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
পাঠকের মতামত: