কক্সবাজার, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

'ঢাকা গ্লোবাল ডায়লগ-২০১৯'

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ ঝগড়া করতে যায়নি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়—এই পররাষ্ট্র নীতিতে আমরা বিশ্বাসী এবং আমরা এটাই মেনে চলি। এ কারণে পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি মিয়ানমার থেকে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আসার পরও তাদের সঙ্গে আমরা ঝগড়ায় লিপ্ত হইনি। সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়লগ-২০১৯’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রথমবারের মতো তিনদিনব্যাপী এই ডায়লগের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস-বিস) ও ভারত ও অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ)।

আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে এ সমস্যার আশু সমাধান প্রয়োজন।

আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগর তথা ভারত মহাসাগর বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় শত্রু দারিদ্র। সেটি একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। শিক্ষা শান্তি ও নিরাপত্তা ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। এ বিষয়গুলো সামনে রেখেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হয়েছে। দেশে প্রায় ৯ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছে।৫ হাজার ৮০০টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। মানুষ কিছুদিনের মধ্যে সেবা পাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের মূলমন্ত্র হচ্ছে কেউ পিছনে থাকবে না। ঢাকা ডায়লগে যে বক্তব্যগুলো উঠে আসবে তা আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং ২০৩০ সাল নাগাদ সকল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করাসহ প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বিভিন্ন ভিশন বাস্তবায়ন এবং এর কাজ ত্বরান্বিত করাই সরকারের উদ্দেশ্য।

২০৪০ সাল নাগাদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং পরবর্তী একশ বছরে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন তিনি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আবদুল মোমেন বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে এবং নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে সে লক্ষ্যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান প্রচেষ্টায় আরও সম্পৃক্ত থাকার ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।

বিসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আব্দুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। এভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে একদিন উন্নত দেশে পরিণত হবে।

ওআরএফ এর প্রেসিডেন্ট সামির শরণ বলেন, ৫০ টি দেশে ১৫০ জন এখানে যোগ দিয়েছেন। এই ধরনের ডায়লগ অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণ তার অকল্পনীয় অগ্রগতি। বাংলাদেশ এই ডায়লগে তার সফলতার কাহিনী জানাবে।

শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে তিনি এশিয়ার অন্যতম

পাঠকের মতামত: