একের পর এক বোমার মতো কনটেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের।
এদিকে আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ডিপো এলাকায় পানির স্বল্পতা রয়েছে। কনটেইনারের কাছাকাছি যেয়ে আগুন নেভানোও যাচ্ছে না। দূর থেকে পাইপ দিয়ে পানি দেয়া হচ্ছে। শুরুতে কাছাকাছি গিয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল বাহিনীর ১০ জনের বেশি সদস্য আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ একের পর এক বোমার মতো কনটেইনার বিস্ফোরিত হচ্ছে। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কনটেইনারের কাছাকাছি গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে প্রায় দশজনের বেশি আহত হন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগুন নেভাতে পানির স্বল্পতাও রয়েছে আমাদের।
তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ৮টি ইউনিট এবং পরবর্তীতে আরও ৮টি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের আহাজারিতে ক্রমশই ভারী হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) বাতাস। মেডিকেলে আসা রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় প্রচুর রক্তের প্রয়োজন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট আর পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের সকল অঞ্চলের স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে আসার আহ্বান জানানো হয়। বিশেষত নেগেটিভ গ্রুপের রক্তধারীদের বেশি প্রয়োজন বলেও জানানো হয় রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে।
পাঠকের মতামত: