মশা মারার ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কিনতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ চান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়ার জন্য করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন মেয়র।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৫৫তম সাধারণ সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এই নির্দেশ দেন। থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুষ্ক মৌসুমে মশা বিস্তারের উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাই নগরবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে সিটি করপোরেশনকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর্থিক অনটনের কথা বলে বসে থাকলে নগরবাসীর অভিযোগ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না।
সিটি করপোরেশনের সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে আজকের সভায় ৫৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৩২ জন উপস্থিত ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেকেই বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
সভায় সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সিটি করপোরেশনের আর্থিক ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। আয়-ব্যয় প্রায় সমান সমান। এই পরিস্থিতিতে মশার প্রজনন ও উড়ন্ত মশা ধ্বংস করার জন্য ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই। মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার জন্য চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। নালা-নর্দমা পরিষ্কারসহ মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড এবং উড়ন্ত মশা মারতে বাসাবাড়িতে ওষুধ ছিটানোতে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
মানুষের জন্য কাজ করতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আগামী ২৯ মার্চ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে যে কেউ জয়ী হতে পারেন। অনেকে জয়ী নাও হতে পারেন। তবে বিজয়ী না হলে নিভৃতে বসে থাকা কোনো জনপ্রতিনিধির কাম্য নয়। কারও ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষমতায় না থাকলেও আপদে-বিপদে মানুষকে সেবা দিতে হবে।
এবারের মেয়র নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। এবার মনোনয়ন পেয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী। আগামী ২৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৪ আগস্ট (বাস্তবে ৫ আগস্ট হবে) পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের এই পরিষদের মেয়াদ থাকবে বলে জানিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে এই মেয়াদেই সিটি করপোরেশনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, যা জনগণের কাছে প্রচার ও প্রসার চালাতে হবে।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র আ জ ম নাছির ওই বছরের ২৬ জুলাই মেয়রের দায়িত্ব নেন। ৬ আগস্ট প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আলো
পাঠকের মতামত: