মুমিনুল হক, যার টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু দেশের বাইরে, অভিষেক ম্যাচেই প্রথম ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি, পরের টেস্টে আবার দ্বিতীয় ফিফটি। ক্যারিয়ারের আট বছরের মাথায় সেই মুমিনুল হক টেস্টে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। দেশের মাটিতে ১০ টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক কক্সবাজারের এই ক্রিকেটারের। কিন্তু বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি।
অবশেষে শ্রীলঙ্কার মাটিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অ্যাওয়ে শতকের খরা কাটালো টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। ২২৪ বলে ৯ বাউন্ডারিতে এই সেঞ্চুরি তুলেছেন টাইগার টেস্ট দলপতি। এই নিয়ে মুমিনুলের টেস্ট সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন ১১টি।
পাল্লেকেলে টেস্টে ব্যক্তিগত ও দলীয় বেশ কয়েকটা মাইলস্টোনের সামনে সফররতরা। দেড়শো রান তুলে ফেলেছেন শান্তও। ৩৪৩ বলে নিজের প্রথম ১৫০* করেছেন ঠান্ডা মাথার এই ব্যাটসম্যান। শান্ত আর মুমিনুলের পার্টনারশিপটাও ২২১*।
ক্যান্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা দাপট দেখিয়ে শেষ করেছে টাইগাররা। একে একে হাসল তিন ব্যাটসম্যানের হাতের ব্যাট। তামিম ইকবাল-মুমিনুল হকের জোড়া অর্ধ-শতকের সঙ্গে মিলল নাজমুল হোসেন শান্তর অসাধারণ এক সেঞ্চুরি দেখা।
তিন ব্যাটসম্যানের দাপটে বড় সংগ্রহের পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। টস জিতে শুরুতে ব্যাট হাতে প্রথম দিন শেষে সফরকারীদের পুঁজি দাঁড়িয়েছে ২ উইকেটে ৩০২ রান। নাজমুল হাসান শান্ত ১২৬ রানে এবং অধিনায়ক মুমিনুল হক ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকাল টেস্টের প্রথম দিনের শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্ন দিয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন ওপেনার সাইফ হাসান। প্রথম উইকেট পতনের পরই শুরু হয় শান্তর মিশন। তামিম ইকবালের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটির পর অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে আরেকটি ১৫০ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন শান্ত। এই দুই জুটিই বাংলাদেশকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায়।
এর আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশের সব শেষ শত রানের জুটি ছিল ২০০৯ সালে। অথচ গতকালই দুই দুটি সেঞ্চুরি জুটি। সব মিলে টেস্টে বাংলাদেশের স্বপ্নের এক দিন।
পাঠকের মতামত: