মাস গেলেই বিদ্যুৎ বিল নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন অনেকে। মাসিক আয়ের একটা বড় অংশ খরচ হয়ে যায় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে। মিতব্যয়ী হওয়ার চেষ্টায় কম কম বিদ্যুৎ খরচ করেও মাস শেষে দেখা যায়, বিলের অঙ্কে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি।
করোনার এই মহামারিতে ঘরবন্দি জীবনযাপনে এসেছে অনেক পরিবর্তন। আয় না বাড়লেও, দিনের পর দিন বাড়ছে খরচ। আসুন জেনে নেই বিদ্যুৎ বিল ৫০ ভাগ পর্যন্ত কমানোর লক্ষ্যে আমরা কোন কোন বিষয়গুলো নজরে আনতে পারি।
– এসির ব্যবহারের দিকে নজর রাখুন। ২৫ ডিগ্রির নিচে কখনই এসি অন রাখবেন না। যে ঘরে এসি চলছে, সেই ঘরে ফ্রিজ, ওটিজি রাখবেন না।
– একসঙ্গে অনেক কাপড় ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে দিন। এতেও খানিকটা সাশ্রয় হয়।
– পুরনো ফিলামেন্টের বাল্বের পরিবর্তে এলইডি ব্যবহার করুন।
– টিভি বন্ধ করার সময় রিমোট দিয়ে স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় রাখবেন না। বিদ্যুতের খরচ কমাতে প্লাগের সুইচ বন্ধ করে রাখবেন।
– ফোনে চার্জ দেওয়া হয়ে গেলে প্লাগের সুইচ বন্ধ করে রাখুন। এতে অল্প হলেও, বিদ্যুতের অপচয় রুখতে পারেন এভাবেও।
– রান্না করা গরম খাবার ফ্রিজে রাখবেন না। ফ্রিজের দরজা অনেকক্ষণ খুলে রাখবেন না। তাহলে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে।
– বাসার প্রতিটি জানালায় রঙিন কাচের ব্যবহার না করে স্বচ্ছ কাচ লাগালে ঘর প্রাকৃতিকভাবে আলোকিত হবে।
– সোলার লাইটের (সৌরবাতি) ব্যবহার করা যেতে পারে। যাদের বাসায় সোলার আছে, তাদের সেটি ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া জরুরি।
– দিনের আলোর ব্যবহার বাড়াতে হবে। যত ভোরে সম্ভব ঘুম থেকে ওঠা ও রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
-রান্নাঘর ও বাথরুমে পর্যাপ্ত আলো থাকা সত্ত্বেও দিনের বেলা বাতি জ্বালানোর বাজে অভ্যাস বর্জন করা উচিত।
– বিদ্যুৎ–চালিত যন্ত্র ব্যবহার না করে কিছু পণ্যের ম্যানুয়াল ডিভাইস ব্যবহার করলে বা রান্নাঘরে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করলে বিল কম আসবে। যেমন ব্লেন্ডার, এগ বিটার, ফুড প্রসেসর, টোস্টার, স্যান্ডুইচ মেশিন, জুসার ইত্যাদি।
পাঠকের মতামত: