নিজস্ব প্রতিবেদক::
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ও হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী চেয়ারম্যান বলেছেন, বাংলার জনগন নতুন কোন ফ্যাসীবাদকে দেখতে চাইনা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্মী সম্মেলন জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখা উদ্যোগে আয়োজিত সোনারপাড়া বাজার চত্বরে ইউনিয়ন সভাপতি হোসাইন আহমদ মাদানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুর আহমদ আনোয়ারী এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগীয় সেক্রেটারি সাবেক ছাত্রনেতা আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাসুমের সঞ্চালনায় এ সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা জনাব শাহজালাল চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ঈদগাঁও উপজেলাধীন ইসলামপুর ইউনিয়নের নবনির্মিত চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসাইন, উপজেলা জামায়াতের মুহতরাম আমীর ও রাজাপালং ইমদাদুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা আবুল ফজল, উপজেলা জামায়তের সেক্রেটারি রাবেতা আল ফুয়াদ বালিকা দাখিল মাদরাসার সম্মানিত সুপার মাওলানা সোলতান আহমদ, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম, উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি শ্রমিক নেতা মাওলানা মুহাম্মদ রিদুয়ানুল হক জিসান, কক্সবাজার জেলা বারের এজিএস ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট কলিম উল্লাহ আল মামুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুর আহমদ আনোয়ারী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৭ বছর ধরে চরম জুলুম-নির্যাতন, খুন-গুম, সন্ত্রাস-হত্যা, লুটপাট, গণতন্ত্র হত্যা করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে। কিন্তু তারা পারেনি। মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে তারা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ফ্যাসিবাদের মাস্টার মাইন্ড স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে এদেশের ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। তার নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নিরীহ শিশু-নারীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যা পৃথিবীতে বিরল। নাৎসী বাহিনীও যা করেনি শেখ হাসিনা তাই করেছে। ৫ই আগস্টেও এই ফ্যাসিস্টের নির্দেশে নির্দয়ভাবে আশুলিয়া, সাভার এলাকায় বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে।
শেখ মুজিব যেমন মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল, শেখ হাসিনাও দেশে সিন্ডিকেট করে গণতন্ত্র হত্যা করে পরিবারতন্ত্র ও স্বৈরাতন্ত্র চালু করেছিল। শেখ মুজিব গণতন্ত্রের সিঁড়ি বেয়ে ক্ষমতায় গিয়ে সিঁড়ি ফেলে দিয়েছিলো। পরে কিন্তু আর সিঁড়ি না পেয়ে ধপাস করে পড়ে গিয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, “বিগত কোন সরকার এদেশের মানুষকে শান্তি দিতে পারেনি,তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেনি। কারণ মানব রচিত কোন মতাদর্শ মানুষের মুক্তি দিতে পারেনা। জামায়াত ক্ষমতায় যেতে চাইনা ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে চাই ,আমরা ক্ষমতায় যেতে চাইনা কুরআনকে সংসদে নিতে চাই।
আনোয়ারী বলেন, মানুষ বলে ৫ই আাগষ্টের পর হতে কেন জোয়ারের পানির মত মানুষ জামায়াতের সাথে যোগ দিচ্ছে। দেখুন আমরা বিগত প্রায় দেড় যুগে কথা বলতে পারি নাই। আমরা ইসলামের সুমহান আদর্শকে মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পারি নাই। এখন মানুষ ইসলামের সৌন্দর্য দেখে ইসলামী আন্দোলনের ছায়াতলে আসছে। এটা জামায়াতে ইসলামীর কোন কৃতিত্ব নয় বরং এটা মহান আল্লাহর রহমত। এটা ইসলামের কৃতিত্ব। শহীদ হাফেজ আবু নাছেরের রক্তের বিনিময়ে এই জালিয়াপালং এ ও ইসলামের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।”
প্রধন বক্তার বক্তব্যে এডভোকেট শাহজাহলাল চৌধুরী বলেন, অতীর কোন সরকার এদেশের মানুষকে তাদের হক ফিরিয়ে দিতে পারেনি। তাই আসুন শান্তি পেতে হলে ইসলামের দিকে ফিরে আসুন।
উক্ত সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল জাব্বার, ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ ইদ্রিস, সেক্রেটারি দিদার আহমদ, ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা হফেজ জালাল উদ্দীন, এসিট্যন্ট সেক্রেটারি মনজুর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মুফিজুর রহমান, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মাওলানা এমদাদুল হক, মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম ও শ্রমিক নেতা জসিম উদ্দিন বাবুল সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। উক্ত সহযোগী সম্মেলনে সহস্রাধিক নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
পাঠকের মতামত: