বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ৪২২ জন আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ৪ হাজার ২৭ জন। সম্প্রতি বাংলাদেশে তিনজন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস রীতিমতো আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কভিড-১৯ নামের করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে অর্থবিভাগ থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আজ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক হয়েছে সকালে। প্রয়োজনে বন্ধ ঘোষণা করা হবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার সম্পর্কে অনেকগুলো পরিসংখ্যান বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যানবিদদের মধ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানী ক্রিস হুইটি মনে করেন, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার এক শতাংশেরও কম।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসুস অবশ্য মৃত্যুর হার আরও বেশি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩.৪ শতাংশ।
মৃত্যুর এ হার করোনায় আক্রান্ত যে রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে শুধু সেই সংখ্যার ওপর নির্ধারিত। হাসপাতালে যাননি কিংবা শনাক্ত হননি করোনায় আক্রান্ত এমন অনেকেও রয়েছে। ফলে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩.৪ শতাংশের কম হওয়াই যুক্তিযুক্ত।
পরিসংখ্যানে প্রকাশ, করোনায় মৃতদের মধ্যে বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। তরুণদের ঝুঁকি বা মৃত্যুর হার কম। বয়স্ক ব্যক্তিরা ছাড়াও যারা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাকাজে সঙ্গে জড়িত তাদের ঝুঁকিও বেশি।
করোনার কোনো প্রতিকার আছে?
বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার খুঁজে পাওয়া যায়নি। চীনের কিছু রোগীর উপর ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশেও নতুন করে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তবে কয়েকজনের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এটি সম্ভব নয়। বিশাল সংখ্যক মানুষের উপর পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
আশা করা হচ্ছে মার্চ মাসের মাঝামাঝি করোনা প্রতিরোধে গবেষণায় সাফল্য আসতে পারে।
পাঠকের মতামত: