একদমই খেলবেন না। খেলা সম্ভব না। এমনটা বলার অবস্থা নেই। তবে ক্রিকেট পাড়ার এ মৃদু গুঞ্জন, টিম বাংলাদেশে কিছু ইনজুরি সমস্যা আছে এবং কয়েকজনের নাকি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকে খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। শুধু তাই নয়, কারো কারো পুরো সিরিজে অংশগ্রহনটাও নাকি শতভাগ নিশ্চিত নয়।
সত্যিই কী তাই? এ মুহূর্তে হোটেল ইন্টারকন্টিন্টোলে থাকা ১৬ ক্রিকেটারের মধ্যে (সৌম্য, নাইম শেখ, সাকিব, রিয়াদ, মিঠুন, মোসাদ্দেক, সোহান, আফিফ, শামীম পাটোয়ারী, সাইফউদ্দিন, শেখ মেহেদি, মোস্তাফিজ, রুবেল, তাসকিন, শরিফুল ও নাসুম) এমন কে আছেন, যার পক্ষে ঘরের মাঠে অসিদের সাথে টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলা সম্ভব নয়?
আশার কথা, এ প্রশ্নর উত্তর খুঁজতে গিয়ে নেতিবাচক বা হতাশ হওয়ার মত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। যাদের এ প্রশ্নের উত্তর খুব ভাল জানার কথা, সেই দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু-হাবিবুল বাশার সুমন এবং বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর কথা শুনে মনে হয়েছে এ মুহূর্তে টিম বাংলাদেশে এমন কেউ নেই যার পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজ খেলা সম্ভব নয়।
তবে তিনজনই অকপটে স্বীকার করেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার এবং মোস্তাফিজুর রহমানের হালকা কিছু সমস্যা আছে। সেটা আরও দু’এক জনেরও আছে। তবে কোনটাই গুরুতর নয়। এমন নয় যে, ওই ইনজুরি বা চোটের কারণে তারা সিরিজ মিস করবেন।
জানা গেছে, সাকিব আল হাসানের গ্রোয়েনে (কুঁচকিতে) একটু টান আছে। সৌম্য সরকারের থাই (উরুতে ব্যাথা) আর মোস্তাফিজের গোড়ালিতে সমস্যা। কিন্তু তার কোনটাই খুব জটিল নয়।
এ ব্যাপারে দুই নির্বাচক এক সুরে কথা বলেছেন। প্রধান নির্বাচক নান্নুর কথা, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটা বড় সিরিজ সবে শেষ হয়েছে। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিলে এক মাসের লম্বা ট্যুর। বেশ কয়েকটা ম্যাচ। এতে করে কারো না কারো একটু আধটু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতেই পারে। সেটা খুব স্বাভাবিক। আমাদের দলেও হালকা কিছু ইনজুরি আছে। তবে তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। দলে প্রচুর খেলোয়াড় আছে। বিকল্পও আছে। কাজেই কারো একটু আধটু সমস্যা থাকলে তার বিকল্প একজনকে খেলানো যাবে।’
অন্যদিকে হাবিবুল বাশারের কথা, ‘আমার জানামতে, চিন্তিত হবার কিছু মত কোন ইনজুরি নেই কারো।’ এদিকে ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরীর ব্যাখ্যা একটু ভিন্ন। তিনি জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, মোস্তাফিজের অ্যাংকেলে আর সৌম্যর থাইতে একটু-আধটু টান ও ব্যাথা আছে।’
তবে তারা কে কতটা ফিট? খেলার মত অবস্থা আছে কী নেই? সেটা খুঁটিয়ে দেখার জন্য তো ফিজিও আছেন। তিনিই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত খুঁটিয়ে দেখবেন এবং জানাবেন, কার সর্বশেষ অবস্থা কেমন? আসলে ফিজিওর রিপোর্টটাই আসল। তিনিই সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন কার ম্যাচ ফিটনেস কতটা?
দেবাশীষ চৌধুরীর শেষ কথা, ‘আমার মনে হয় না দলে সে অর্থে কোন ইনজুরড ক্রিকেটার আছেন। কারণ, কোন ইনজুরড ক্রিকেটারকে আর যাই হোক, হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখা হতো না। হ্যাঁ, তবে একটু আধটু সমস্যা আছে কয়েকজনেরই। সেটা সব দলেরই কম বেশি থাকে।’
জিম্বাবুয়ে থেকে দেশের ফেরার পর বাধ্যতামূলক তিনদিনের রুম কোয়ারেনটাইনের পর আগামীকাল ১ই আগস্ট শেরে বাংলায় অনুশীলন করবে টাইগাররা। ৩ জুলাই সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ। জানা গেছে আজ রাতেই ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতো রিপোর্ট দেবেন, কার সর্বশেষ অবস্থা কী? এরপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: